চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নগরীর অর্ধশতাধিক স্পট। হরতাল ও অবরোধের আগে-পরে এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ স্পটগুলোতে গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ এবং পুলিশের ওপর হামলাসহ নাশকতায় মেতে ওঠে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। সম্প্রতি নাশকতা কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে সিএমপি ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোর তালিকা তৈরি করে। চিহ্নিত স্পট ও নগরীতে টহল জোরদার করা হলেও নাশকতা সৃষ্টিকারীদের কূটকৌশলের কাছে হার মানছে পুলিশ।
সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল হাসান জানান, 'সুনির্দিষ্ট কিছু স্পটে নিয়মিত নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। ওই স্পটগুলোতে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নাশকতা সৃষ্টিকারীরা কৌশল পরিবর্তন করে সরকারি স্থাপনা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টার্গেট করে মাঠে নেমেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে পুলিশ।'
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আকতার বলেন, 'হরতাল ও অবরোধ চলাকালে নাশকতা সৃষ্টিকারীরা চট্টগ্রাম মহানগরীকে বিচ্ছিন্ন করতে সুনির্দিষ্ট কিছু স্পটকে টার্গেট করে মাঠে নামে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসায় তারা এখন কিছুটা কৌশলী হয়ে নতুন নতুন স্পটে নাশকতা চালাচ্ছে। নাশকতা ঠেকাতে নগরজুড়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।'সিএমপি সূত্রে জানা যায়, হরতাল ও অবরোধ চলাকালে ধ্বংসাত্দক কর্মকাণ্ডের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে মহানগর পুলিশ অর্ধশতাধিক স্পটের একটি তালিকা তৈরি করে। তালিকায় দেড় ডজন স্পটকে অধিক ঝুঁঁকিপূর্ণ এবং বাকিগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে- মুরাদপুর, টাইগারপাস, বহদ্দারহাট, কালামিয়া বাজার, তুলাতলী, মিয়াখান নগর, কর্নেলহাট, সাগরিকা, অলঙ্কার মোড়, সিটি গেট, ইস্পাহানী গেট, এ কে খান মোড়, ইস্পাহানী মোড়, ইপিজেড, বাদুরতলা, আন্দরকিল্লা, ডিসি হিল, কাজীর দেউড়ি, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, স্টেশন রোড, টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, ছোটপুল, বড়পুল, ওয়াপদা মোড়। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোতে প্রতিনিয়ত ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। হরতাল অবরোধ চলাকালে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সিএমপির পশ্চিম জোনকে। হরতাল অবরোধে এ জোনের বেশ কিছু স্পট ছিল নাশকতা সৃষ্টিকারীদের দখলে। এ জোনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রোধে ব্যর্থ হওয়ায় গত ৮ ডিসেম্বর জোনের উপপুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারকে বদলি করা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।