আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাখো কণ্ঠে আমার সোনার বাংলা

৪৩তম বিজয় দিবসে লাখো কণ্ঠের জাতীয় সংগীতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ল বাঙালিরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমুদ্র থেকে লাখো কণ্ঠের দৃপ্ত উচ্চারণের জাতীয় সংগীতে একই সঙ্গে একই সময়ে কণ্ঠ মেলান সারা বিশ্বের কোটি কোটি বাঙালি। বাংলাদেশিরা তার জাতীয় সংগীতকে হৃদয়ের গহিন থেকে কণ্ঠে ধারণ করেছে গভীর ভালোলাগা আর ভালোবাসায়। কোটি প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের বিজয়। এ বিজয় যেদিন আমরা অর্জন করেছি ৪২ বছর পর সেই সময়ে চরম বিচার হচ্ছে স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ বিরোধীদের। সেই বিজয়ের উল্লাসে আর স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের ক্ষণে লাখো কণ্ঠের জাতীয় সংগীত এই মানচিত্রের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। দৃপ্ত উচ্চারণ আর দৃঢ় প্রত্যয়ে জাতীয় সংগীত গতকাল বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। আরও বলতেই হয়, গতকাল দুপুরে আমাদের জাতীয় পতাকা সবচেয়ে বড় মানবপতাকা হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। আর তা ঠাঁই হতে চলেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।

গতকাল বিজয় দিবসের বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে যেখানে পাকিস্তান হার মেনে নিয়েছিল, যেখানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে জাতির জনক স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই রেসকোর্স ময়দান (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) থেকে জাতীয় সংগীত এক সুরে এক লয়ে গেয়েছেন লাখো মানুষ।

বিপ্লবের লাল রং আর তারুণ্যের সবুজে মিশে একাকার হয়ে গতকাল দিনব্যাপী নানা উৎসাহ ও উদ্দীপনায় বাঙালি জাতি বিজয়ের ৪২তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। স্বাধীনতার এত দিন পরেও সেই হায়েনারা এখনো জেগে উঠতে চাচ্ছে। পতাকাকে খামচে ধরতে চাইছে। সেই হায়েনাদের রুখতে মুক্তিকামী জনতা মুক্তির চেতনার স্পন্দিত হয়ে পতাকা আর মানচিত্র রক্ষায় শপথ নিয়েছে।

বাঙালির আবার দৃপ্ত শপথে অন্যবারের তুলনায় এবারের বিজয় দিবসকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে। যার মূলে রয়েছে লাখো হৃদয় থেকে এক সময়ে বের হয়ে আসা জাতীয় সংগীত। আর এ জন্য দেশজুড়ে নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপনের চেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয় দিবস উদযাপনের সবচেয়ে ছিল বড় আয়োজন। বিজয় ২০১৩ উদযাপন জাতীয় কমিটি, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বিজয় ৪:৩১ মঞ্চ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সম্মিলিত আয়োজনে পূর্ণতা পায় এ উদ্যোগ। বেলা ১১টায় বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়েই দিনব্যাপী আয়োজনের শুরু। এ সময় সূচনা বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত ও ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। স্লোগানে স্লোগানে ঝড় তোলার পাশাপাশি বিজয় দিবসের দিনব্যাপী এই আয়োজনে আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন দেশের প্রথিতযশা শিল্পী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ উচ্ছ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দেয় বিজয়ের আতশবাজি। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে দিনব্যাপী এই বর্ণিল আয়োজন। আর বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয়ের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শপথ বাক্য পাঠ করান সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মুক্তিযুদ্ধ ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু প্রমুখ। এর আগে মিত্র বাহিনীর প্রধান অরোরার কাছে জেনারেল নিয়াজির আত্দসমর্পণের দৃশ্যটি প্রতীকীভাবে তুলে ধরা হয়। অন্যদিকে বিজয়ের এই আনন্দ সারা দিন ছড়িয়ে ছিল রাজধানীজুড়ে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.