তুরস্কে ইন্টারনেট সংক্রান্ত আইন কঠোর করেছে দেশটির সরকার। বুধবার রাতে আইনটির অনুমোদন হয়। এই আইনে ইন্টারনেটের ওপর নজরদারির ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে দেশটির টেলিযোগাযোগ বিভাগকে। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, এটা কোনো ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নয়। অন্য অনেক দেশের তুলনায় তাদের দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে এবং তারা মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী। ইন্টারনেট সংক্রান্ত বিলটি নিয়ে বুধবার রাতে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে পার্লামেন্টে কয়েক ঘণ্টা তুমুল বিতর্ক হয়। পরে ৫৫০ সদস্যের মধ্যে ৩১৯ জন এই প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন। পার্লামেন্টে বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, এই আইনটি এক ধরনের 'সেন্সরশিপ' কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়্যেপ এর্দোয়ানের ক্ষমতাসীন জাস্টিস এবং ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তাদের প্রতিরোধ ধোপে টেকেনি। এই আইনের ফলে কোনো ব্যক্তি কাউকে অসম্মান করলে বা ব্যঙ্গ করলে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই ইন্টারনেট সুবিধা বা ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকছে সরকারি সংস্থা টেলিকমিউনিকেশনস প্রেসিডেন্সি 'টিআইবি'র। এমনকি অবাধ নজরদারির ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে টিআইবিকে। ইস্তাম্বুলের বিলগি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ইয়ামান আকদেনিজ জানান, টিআইবিকে এই ক্ষমতা দেওয়া 'অরওয়েলিয়ান', অর্থাৎ মুক্ত চিন্তা ও বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন। বিরোধী দলের নেতা হাসান ওরেন এর্দোয়ানকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার মনে রাখা উচিত হিটলার যখন ক্ষমতা পেয়েছিলেন, তখন তিনি একই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন। আল জাজিরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।