আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাবির দুই ছাত্র হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।
দুই বছর আগে বখাটেদের হাত থেকে সহপাঠীদের বাঁচাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইজ্ঞিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের ছাত্র দীপঙ্কর ঘোষ অনিক ও খায়রুল কবির আসামিদের হাতে নিহত হন। ওই ঘটনা সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত নয় আসামি হলেন- সিলেট সদর উপজেলার নলকট গ্রামের গুলজার মিয়া ওরফে গুলজার মাঝি, একই গ্রামের ছইল মিয়া, শাহিন আহমদ, লাল মিয়া, সাইম মিয়া, জালাল মিয়া, রকিব আহমদ, আবদুল্লাহ ও সেলিম মিয়া।
আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।


আসামিদের মধ্যে গুলজার মিয়া ও রকিব আহমদ পলাতক, বাকিদের কারগারে পাঠানো হয়েছে।
রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দিয়েছে।
তবে রায়ে আসামিরা সুবিচার পাননি দাবি করে তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিরুজ্জামান নাজিম বলেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
ঘটনার দিন
২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইজ্ঞিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছয় শিক্ষার্থীসহ আটজন সিলেটের চেঙ্গেরখালে নৌভ্রমণে যান।
ফেরার পথে কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নোয়াপুটা-নীলগাঁওয়ের কাছে আরেকটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে পাঁচ-ছয়জন যুবক তাদের তাড়া করে।


ওই সময় মাঝি ইঞ্জিন বন্ধ করে দিলে বখাটেরা তাদের নৌকায় উঠে সবার মুঠোফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। বখাটেরা ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দীপঙ্কর ও খায়রুল বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা তাদের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে পানিতে ফেলে দেয়।
পরদিন খাল থেকে অণিক ও খায়রুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ইশফাকুল হোসেন সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে নৌকার মাঝি গুলজারসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিচার প্রক্রিয়া
গত বছরের ৪ মার্চ নৌকার মাঝিসহ নয়জনকে আসামি করে সিলেটের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক সঞ্জিব দাশ। বাকিদের অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে।
মামলার বাদি এ অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দিলে ৭ মে আদালত এক আদেশে অধিক তদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
পরে জালালবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল লতিফ পুনঃতদন্ত শেষে গত বছরের ১৫ জুন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।


চলতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত বিশেষ জজ আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। ২৫ মে মামলাটি সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের পর বিচারকাজ শুরু হয়।
৪৩ কার্যদিবসে মামলার ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করল।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.