নামহীন। শাবি প্রতিনিধিঃ শৃঙ্খলাভঙ্গ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে অপপ্রচার ও কুৎসা রটানোর দায়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত শিক্ষার্থী মুন্সী মো. মিসবাহ উদ্দিনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার মিসবাহ’র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মিসবাহ’র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গ আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে প্রধান করে ৩সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গঠিত কমিটির প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মিসবাহকে সাময়িক বহিষ্কার করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসকে সুপারিশ করে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য মিসবাহকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন জানান, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দায়ে মিসবাহকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্য ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান শহীদুর রহমান জানান, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত এ সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শিক্ষকের মানহানী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ফেসবুকে কুৎসা রটনার অভিযোগে মুন্সী মো. মিসবাহ’র বিরুদ্ধে গত ১৫ জানুয়ারী সহযোগী অধ্যাপক মো. জহিরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে ১১ জানুয়ারী মানহানি, অপবাদ ও মিথ্যাচারের জন্য বিচারের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট এবং ম্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী চিন্ময় সরকার ও সুদীপ্ত কর বলেন, ফেইস বুকে মিজবাহ উদ্দিন নকল ডকুমেন্টের মাধ্যমে আমাদেও (১৮ জন হিন্দুসহ) শিবির বানিয়ে ‘মুখশ উন্মোচন-১’ নামে সিএসই ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করে। আমাদের অবস্থান কর্মসূচী মিজবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার এই তালিকা প্রকাশের পেছনে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের হাত রয়েছে। অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, যে এই কাজটি করেছে সে আজগবি নকল ডকুমেন্ট ছড়িয়ে আমাদের সবাইকে এক ধরনের গালি দিয়েছে।
সিএসই বিভাগের ছাত্র শিক্ষকদের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। যেহেতু ঘটনার সাথে মিজবাহ উদ্দিনের নাম উঠে এসেছে তাই অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া আমি ব্যক্তিগত ভাবে প্রথম আলোর সম্পাদককে বলব বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার এমন একজন প্রতিনিধি রয়েছে যে কিনা শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। আপনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। কর্মসূচী চালাকালীন শিক্ষার্থীরা মুন্সী মিসবাহ উদ্দিনকে ‘আদু ভাই’ এবং শিবিরের সাংবাদিক আখ্যায়িত করে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও প্রকাশ্যে ছাত্র-শিক্ষকের নিকট ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়।
এর আগে মুন্সির বিরুদ্ধে শাবির বন্ধু সভার সভাপতি থাকাকালে তার বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনে উপাচার্য, প্রথম আলো বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগে স্মারকলিপি প্রদান করে বন্ধুসভার কার্যকরী সদস্যরা । মিসবাহ উদ্দিন নয় বছর ধরে অধ্যয়নরত থাকালেও এখনো স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারে নি। ক্যাম্পাসে সে আদু ভাই হিসেবে পরিচিত বলে শিক্ষার্থীরা জানান। মিসবাহ উদ্দিনের পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়, জামাতী নিয়ন্ত্রিত মিরা বাজার জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রসা থেকে দাখিল ও আলিম পাশ করে শাবিতে ভর্তি হয়। অভিযোগ সম্পর্কে মিসবাহ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে কল কেটে দেয়
http://studentbd24.com/?p=1832 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।