বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে রেজিস্ট্রার মো. ইসফাকুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, “আমাদের পক্ষে সমন্বিত পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ”
বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উদ্ভূত পরিস্থিতে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছে।
”
পুরনো পদ্ধতিতেই আগামী ২১ মার্চ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে বলে জানান তিনি।
সমন্বিত পদ্ধতি এবারের মতো স্থগিত না পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, “এবার হচ্ছে না মানেই বাতিল। ”
সমন্বিত পদ্ধতির পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়ে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী লাইফ সায়েন্স স্কুলের ডিন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়সমীন হকের অনুপস্থিতিতেই রোববার দুপুরে একাডেমিক কাউন্সিলের এই বৈঠক হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতিতে এবরাই প্রথম শাহজালাল এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে সমন্বিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও হয়েছিল।
কিন্তু ‘সচেতন সিলেটবাসী’ ব্যানারে একটি পক্ষের দাবির মুখে গত ২৬ নভেম্বর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ওই পদ্ধতি বাতিল করে ৩০ নভেম্বরের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এর প্রতিবাদে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমীন হক পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এরপর শিক্ষার্থীদের পাল্টা আন্দোলনের মুখে ২৭ নভেম্বর আবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি পুনর্বহাল করা হয় এবং দুই শিক্ষাক পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন।
ওই পদ্ধতি আবার বাতিলের পর ইয়াসমীন হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।