আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদ খান, ইমদাদুল হক মিলন, ঐন্দ্রীলা, পার্থ বড়ুয়া প্রসংগ

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

“খালেদ খান” খান অসুস্থ।

হেলাল চরিত্রে খালেদ খান অভিনিত যখন “রূপনগর” ধারাবাহিক নাটকটি যখন বিটিভিতে দেখানো হয় তখন আমি ছোট। খুব সম্ভবত ক্লাস ফাইভে। মনে হচ্ছে কয়েকদিন আগের কথা। সময় খুব দ্রুত যায়। সেই সাথে মানুষও পাল্টায়।

একজন সত্যিকারের বাঙালী কখনও সময়ের সাথে নিজে কে বিকিয়ে দেন না। হেলাল, শামিম, সহ নাটকের চরিত্রগুলি তৎকালীন সবশ্রেণীর মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় ছিল। নাটকটির থিম সং ছিলো পূর্ণ দাস বাউলের গাওয়া “মন চলো রূপেরনগরে”। পূর্ণ দাস বাউল হলেন “তোমার দিল কি দয়া হয় না” জনপ্রিয় গানটির গায়ক পবন দাস বাউলের বাবা। ইমদাদুল হক মিলন এর গল্প ও সুন্দর ডিরেকশনে নাটকের চরিত্রগুলি বেশ সুন্দর ভাবে মানুষের মনে দাগ কেটে ছিলো।

খেলাল খান অর্থাৎ খালেদ খানের চরিত্রটির একটি ডায়ালোগ সবার মুখে মুখে রটে গিয়েছিলো। আর তা হল “ছিঃ... ছিঃ.... ছিঃ......তুমি এতো খারাপ”। খালেদ খানের ক্যারেকটারটি ছিলো এন্টিহিরোর। হেলাল প্রতি পর্বে শামিম কে তাড়িয়ে বেড়ায়। তারপরও হেলাল চরিত্রটি বাংলা নাটকের ইতিহসে সার্থক এক চরিত্র।

কারণ তখন যে “ইমদাদুল হক মিলন” নাটক বানাতেন। সেই ইমদাদুল হক মিলন যে আজ প্রতিষ্ঠার নামে অপ্রতিষ্ঠিত একজন। সেই ইমদাদুল হক মিলন সত্যকে সত্য বলতে জানতেন। আর আজ যে ইমদাদুল হক মিলন “কালের কন্ঠ” নামক বিশাল ইনভেস্টমেন্ট করা যে দৈনিক পত্রিকার সম্মাদক তিনি যে এখন সত্য কে সত্য বলতে ভয় পান। হায়রে পরিবর্তন? যাই হোক, নাটকে বুলবুল আহমেদ ও শর্মিলী আহমেদ স্বামী স্ত্রীর চরিত্র অভিনয় করেন।

“রূপনগর” নাটকে বুলবুল আহমেদ এর ঐন্দ্রিলার অভিনয় শুরু হয়। অনেক সম্ভাবনাময় ছিলো মেয়েটি। মেয়ে নাটকেও বুলবুল আহমদ ও শর্মিলী আহমেদ এর মেয়ে হিসেবে চমৎকার অভিনয় করেন। খালেদ খান যেভাবে ঐ এন্টিহিরোর ক্যারেকটারটি অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয় জয় করতে পেরেছিলেন। তাতে ঐ রকম অভিনয় জীবনে একবার করাই ভালো।

অনেক নাটক করলেই যে বড় তারকা এমন কোনো কথা নেই। সম্পাদক ইমদাদুল হক সাহেব আজ দেখুন সমাজের অবস্থা? আপনিও শেষ পর্যন্ত টাকার কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিলেন? আপনি যে বিক্রমপুরের সন্তান? আপনি ব্যবসা অনেক ভালো বোঝেন। আমার ব্যাক্তিগত ধারণা ঐ সময়ের ইমদাদুল হক সমাজকে যেভাবে দেখতে পেতেন আজ পান না। দেখুন আজ আপনার শামিম কিভাবে বিশ্বজিত হয়ে উঠেছে। আর হেলালরা অনেক দুরত্বে পৌছে গেছে।

তারা এখন ধরা ছোয়ার বাইরে নিজেদের মনে করছে। বিশ্বজিতের হত্যাকারী শুধু ঐ কয়েকটি বখাটে যুবক? যে প্রশাসন, মিডিয়া কর্মী, সাধারণ মানুষ তাকিয়ে তাকিয়ে জীবন নাটককে সিনেমার মতো মনে করে তাকিয়ে তাকিয়ে এই নিষ্ঠুর দৃশ্য উপভোগ করেছেন তাদের কি মানুষ বলা যায়? একদিন যে ক্ষুদিরাম ছিলো আজ তিনি বিশ্বজিতের ভিতরে নিজের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বাঙালীর দরজার কাছে কেঁদে বেড়াচ্ছে? রূপনগর নাটকে হেলাল চরিত্রটির একজন বড় ভাই ছিলেন। বড় ভাই কে দেখানো হতো না শুধু কন্ঠস্বর শুনানো হতো। আর এই বড় ভাই নামক গুরুত্বপূর্ণ ক্যারেকটাকটিতে কন্ঠ দিয়েছিলেন “মাযহারুল ইসলাম”। মাযহারুল ইসলামের ভরাট কন্ঠস্বর যেনো বাঙালীর কন্ঠস্বর।

এই গুণী মানুষটি আমাদের বুঝিয়েছেন যে কন্ঠ বিক্রি করেও জীবন ধারন সম্ভব। সুন্দর উপস্থাপন। ইমদাদুল হক মিলন তার মেধা দিয়ে বড় ভাইরা যে সমাজে পয়দা হচ্ছে তা দেখাতে বা বোঝাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানো বন্ধু!!! ইমদাদুল হক মিলন সাহেবই যে আজ বড় ভাইদের চামচা হিসেবে কাজ করে টাকা পয়সার মালিক হয়েছে ঠিকই কিন্তু তার অসম্ভব সুন্দর সুনাম ও ব্যাক্তিত্বকে বিষর্জন দিয়েছেন। আপনি নিজেকে কি ভাবেন? বড়লোক হয়ে গেছেন? বাংলার মানুষ আজ আপনার কাছেই জানতে চায় “বড় লোক কাকে বলে?” ইমদাদুল হক মিলন আপনি বিক্রম পুরের সন্তান।

যেখানে জন্ম নিয়েছেন বিজ্ঞানী সুবাস চন্দ্র বসু, ফকরুদ্দীন আহম্মেদের মতো বাঙালী। আপনার কাছ থেকে সাধারণ মানুষ অনেক কিছু আশা করে। আপনি ঐ সুন্দর চেয়ার ছেড়ে সাধারন মানুষের কাছে আসুন দেখতে পাবেন “জীবন কতো সুন্দর”। আপনার মতো বাঙালীর কাছে ঐ অসুরদের পয়সার গাড়ী বাড়ী যে পাপ মনে করা উচিৎ। সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন কে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যে আপনি যে একজন বাঙালী তা ভুলে গেছেন।

বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে সুপথে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করছে। আপনি ঐ ধনী সমাজের কাছে নিজেকে ঋণী মনে করবেন না। বরং নিজেকে ঋণী মনে করুন একজন বাঙালীর কাছে। তাহলেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আর বুলবুল আহম্মেদ এর মেয়ে ঐন্দ্রীলাকে বলছি।

তোমার জন্য তোমার বাবা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। ব্যাক্তিস্বত্বা, নাটক, কর্তব্য, দায়িত্ব, ভার্চুয়াল লাইফ সবগুলোর একসাথে সমন্ময় করাটা সত্যিই দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বলছি বাবা মা এর অমতে অপ্রাপ্ত বয়সে নিজে একটি ভুল ডিসিশন নিলে তার খেসারত সারাজীবন দিতে হয়। আমি চাই “রূপনগর” নাটকের ঐ ঐন্দীলা আবাও সুন্দর ভাবে প্রত্যাবর্তন করবে। হয়ে উঠবে গর্বিত বাঙালী।

আর একটি কথা, যখন রূপনগর নাটকটি তুমুল জনপ্রিয়। সমসাময়িক সময়ই আশরাফ বাবু, চারু এবং পার্থ বড়ুয়া মিলে একটি এ্যালবাম বানিয়েছিলেন “ত্রিরত্নের ক্ষ্যাপা”। তার একটি গানের অংশবিশেষ যেটুকু মনে পড়ছে বলছি। চলছে যত বিনদনের খবর এখন.... চলছে হয়রান গফুরের (রায়হান গফুর- অন্তরঙ্গ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক) বেহুদা প্যানপ্যানানী, খুব ভালো চলে টিপু সুলতান (বোম্বের প্রখ্যাত পরিচালক সঞ্চয় খান যার মেয়ে সুজানাকে ঋতিক রোশন বিয়ে করেছিলেন) চলছে..... হেলাল আর শামিমের ইদুঁর বিড়াল খেলা... চলছে..... চারু ভাই খুব ভালো একজন রাপ গায়ক। তাদের মতো মেধারা চাইলে আজও বাঙালীকে রাপ গানের মাধ্যমে উজ্জেবিত করতে পারেন।

আর আশরাফ বাবু্ও পারেন অনেক কিছু করতে। আর পার্থ বড়ুয়া তো সুপার স্টার হয়ে সুপার সুপার ডায়ালোগ মেরে সময় কাটাচ্ছেন। একজন সত্যিকারের বাঙালী কখনও সময় কাটায় না বরং সময়কে নিজের মতো করে নেয়। পার্থ দা আপনি আজ আশরাফ বাবু আর চারু ভাই কে নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ুন। দেখুন আপনারা যাদের তুচ্ছ মনে করেন তারাই আপনাকে স্টার বানিয়েছেন।

যাদের কথায় নাঁচেন তারা শুধু সহযোগীতার নাম করে আপনার মেধাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ সময় এসেছে নিজের মনের ভিতরের সাময়িক ভাবে সুপ্ত থাকা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার। দেখো এমদাদুল হক মিলন আর পার্থ বড়ুয়া তোমাদের বাঙালীর আজ কতো শক্তি। আমার লেখার কোনো নাম নেই-৬ (মাইলস এর শাফিন হামিন ও আমার প্রিয়া) আমার লেখার কোনো নাম নেই-৪ (খেলোয়ারদের খেলা দিয়ে জীবন দর্শন) আমার লেখার কোনো নাম নেই-২ (তছলিমা নাছরিন ও সাইদী দুজনের ভাগ্য) আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল নং- ০১৭১৭-০৪৪৯১৯

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।