আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিগবাজি মারলেন রুমি, ছাড় দেবেন না অনন্যা

গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই একটা কথা শোনা যায়, "যে লাউ সেই কদু" অথবা আরেকভাবে বললে বলা যায়, "গাধা নাকি জল ঘোলা করে খায়"। ঠিক এই ঘটনাই ঘটতে যাচ্ছে আরফিন রুমি ও অনন্যার দাম্পত্য কলহে। ঘুরে-ফিরে সেই একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন হালের অন্যতম আলোচিত ও সমালোচিত সঙ্গীত শিল্পী রুমি। কারণ গত ৪ ডিসেম্বর আদালতে বয়ানকৃত কোন কথাই রাখেননি তিনি। এমনটাই অভিযোগ করলেন তার প্রথম স্ত্রী অনন্যা।

যদিও তার হাতে আরও ২দিন সময় আছে। অর্থাৎ আলোচিত এ পারিবারিক কলহের মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২৪ ডিসেম্বর।  

গত ৪ তারিখ দুই পক্ষের শুনানি শেষে মামলার এই পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয়। সে সময় আদালতে একটি আপসে আসার সিদ্ধান্ত নেন রুমি ও তার পরিবার। এমনকি আগামী ২৪ ডিসেম্বরের পূর্বে আপসনামা অনুযায়ী অনন্যাকে ২০ লক্ষ টাকা প্রদান ও চুক্তিনামার অন্যান্য শর্ত পূরণ করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অনন্যা বলেন, গত তারিখের পর রুমির পরিবার থেকে কোনোরকম সাড়াশব্দ পাইনি। উল্টো আমাদেরকে শাসানো হচ্ছে। এর আগে আদালত থেকে বলা হয়েছিল আমি যেন রুমিদের বাসায় গিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও বইগুলো অনতে পারি। অথচ আমাকে তারা বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। এমনকি আমার উকিলকেও বকাঝকা করা হয়েছে।

এছাড়া আমাদের সন্তান (আরিয়ান) গত বৃহস্পতিবার তার বাবার (রুমি) সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা পোষণ করে। এজন্য তাদের বাসায় ফোন দেই। আমার সঙ্গে কথা না বললেও আরিয়ানের সঙ্গে রুমি কথা বলেছে। ভালোভাবে কথা বলা তো দূরের কথা, আমার বিরুদ্ধে আরিয়ানের কাছে বাজে মন্তব্য করেছে। যা লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আমরা শুনতে পাই।

এতোটুকু একটা বাচ্চার কাছে রুমি বলে, "তোমার মা (অনন্যা) একটা খারাপ নারী। ওর সঙ্গে থেকো না। ওকে ঘৃণা করো। "  যে ব্যক্তি নিজের সন্তানের কাছে এসব কথা বলতে পারে তার কাছে আর কি আশা করা যায়!

অন্যদিকে, অনন্যার মা বলেন, রুমিদের বাসায় ফোন করেছিলাম। আপসনামা অনুযায়ী শর্ত পূরণের কথা জিজ্ঞেস করতেই অপ্রাসঙ্গিক কথা শুরু করেন অনন্যার শাশুড়ি।

তিনি জানান, রুমি এখন তার সঙ্গে থাকেন না। আলাদা ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তাছাড়া তাদের নাকি এখন বিষ খাওয়ারও পয়সা নেই।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অনন্যা আরও বলেন, এককথায় রুমি ডিগবাজি মেরেছে। ২৪ তারিখের মধ্যে চুক্তিনামা অনুযায়ী আপস না করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।

এমনকি নতুন করে আরও ৩টি মামলা দেওয়া যাবে। কারণ গত তারিখে আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা আমাকে একথা জানিয়েছিলেন। নিজের এবং সন্তানের ভরণপোষণ নিয়ে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেবো না। বলতে খারাপ লাগছে, তারপরেও বলছি, আরিয়ানের ওষুধ কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাকে। বন্ধ হতে যাচ্ছে নিজের পড়াশোনা।

কারণ নতুন করে বই কেনার মতো খরচ জোগাতে পারছি না। অথচ আমাকে বইগুলোও আনতে দিচ্ছেন না রুমির মা। মামলার সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য ফোন করা হলে রুমির মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।  

উল্লেখ্য, একটি আপসনামার ভিত্তিতে রুমিকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ ছিল, সন্তান আরিয়ানের ভরণপোষণের জন্য রুমি অনন্যাকে ২০ লাখ টাকা প্রদান করবে, যা ব্যাংকে ডিপোজিট করে রাখা হবে।

এ ছাড়া অনন্যার সঙ্গে সে আর খারাপ ব্যবহার করবে না। অধিকার দিবে স্ত্রীর প্রকৃত মর্যাদার। সবচেয়ে মজার কথা, অনন্যারা তাদের কাছে যায়নি। রুমির গোটা পরিবার অনন্যাদের বাসায় গিয়ে অনেক কাকুতি-মিনতি করে রুমির জামিনের জন্য অনুনয়-বিনয় করেন। এমনকি এসব শর্তাবলী লেখার সময় সিডি চয়েজের এমদাদ ভাই, প্রিন্স ভাই, কাজী শুভ, ইলিয়াস, খেয়া, আরমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া রুমির ব্যান্ড দলের মামুন, লিটন ও শান্তরাও ছিলেন। এরাও এ শর্ত সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।  

 

(বাংলাদেশ প্রতিদিন- এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। ) 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.