[ সা ত ক্ষী রা থে কে ফি রে ]
বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও
আবেদ খান, জিয়াউদ্দিন তারেক আলী, সাদেকা হালিম, সানজিদা আখতার, জিয়াউর রহমান, রোকেয়া প্রাচী ও কাবেরী গায়েন
এক.
শনিবার দুপুর আড়াইটায় প্রথমে কলারোয়া উপজেলার যুগীখালি গ্রামে পৌঁছালে এক হূদয় বিদারক দৃশ্যের মুখোমুখি হই আমরা। বাজারের সর্বস্ব লুট হয়ে যাওয়া দোকানগুলো দেখতে দেখতে আমরা গ্রামে ঢুকতে থাকি। ১০ ডিসেম্বর রাতে লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়া নিমাই চন্দ্র হোড়ের দোকানের সামনে মানুষের বিশাল জটলা তখন। জনগণ চিত্কার করে বলছেন, 'সাতক্ষীরাকে জ্বালায়-পুড়ায় ৪ জনকে মেরে ফেলেছে ওসি। ' 'আমরা কি পাকিস্তানে, আফগানিস্তানে?' ওসি'র পরিবর্তন চেয়ে তখন শ্লোগান দিচ্ছেন অনেকেই।
জানা গেলো, ১০ তারিখ রাতে মুখে কাপড় বেঁধে ১৫০/২০০ মানুষ এসে লুটতরাজ চালায় এই বাজারে। হোটেল মালিক আব্দুর রশিদ জানালেন, কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হবার দু'দিন আগেই রাত এগারোটায় তার হোটেল ভেঙ্গে দেয়া হয়। তবে সবচেয়ে হূদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় কলারোয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আজহারুল ইসলাম আজুর বাড়িতে উপস্থিত হলে। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হবার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কয়েকশ জামায়াত-শিবির কর্মী তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আজু জামায়াত কর্মীদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য পিতার কবরের মধ্যে পালিয়েও রেহাই পাননি বরং কবর থেকে ধরে এনে স্বজনদের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।
এমনকি তার কবর দিতেও বাধ সাধে তারা।
দুই.
সদর উপজেলার আগরদাড়ির তিন কিলোমিটার দূরে কুচপুকুর এলাকায় রয়েছে জামায়াত পরিচালিত মাদ্রাসা। স্থানীয় জনগণ বলে জামায়াতের ক্যান্টনমেন্ট। এখানে ১ মার্চ আওয়ামী লীগের স্থানীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নজরুল ইসলামের বাড়িতে গেলে সেখানেও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার স্বজনরা।
সেখানেই দেখা হয়ে যায় তৃণমূল আওয়ামী নেতাদের সাথে। তাদের সবাই কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। দোকান-পাট ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে অথবা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অথবা মারধোর করা হয়েছে। এই এলাকাতেই নয় বছরের শিশু রিয়াদকে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছে ঘাতকরা। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি।
কুচপুকুর এলাকায় আওয়ামী লীগ নামে কোন সংগঠন থাকবে না মর্মে ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতের চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল ইসলাম।
তিন.
দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী আর পশ্চিমদিকে ভারত। এবছর ২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই আওয়ামী লীগ আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর নেমে এসেছে চরম নির্যাতন। আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুল হকসহ চারজনকে হত্যা করা হয়েছে এ পর্যন্ত। মুখোশধারী হত্যাকারীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে পারুলিয়ার আবু রায়হান, আলমগীর হোসেন, আব্দুল আজিজকে।
হাত-পা ভাঙ্গা অবস্থায় চিকিত্সাধীন রয়েছেন নারায়ণ সরকার, মো. বেলাল হোসেন, শেখ ফারুক হোসেন রতন, নাজিম হোসেন, আকিনুর, শরিফুল ইসলাম মিন্টু। বসতবাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, দোকান-পাট পুড়িয়ে দেয়ার রেকর্ড পাওয়া যাচ্ছে ৭৫ জনের। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের পরেই চেষ্টা করা হয়েছে কুলিয়া শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলার। তবে সকল তাণ্ডবের সাক্ষী হয়ে আছে বুঝি দেবহাটা থানার গাজীর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষের বাড়িটি। ১৩ তারিখ সকালেই শত শত মানুষ এসে সম্পন্ন মজবুত দোতলা বাড়িটি পেট্রোল ঢেলে আর গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে সর্বস্বান্ত করে রেখে গেছে মাত্র আধাঘন্টার মধ্যে।
কাঠের দরোজা-জানালাগুলো কয়লা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ির পুরুষেরা কেউ বাড়িতে নেই। শুধু বেশ কয়েকজন নারী মূল বাড়ির পাশে একটা খড়ের চালার নিচে পাশাপাশি আতঙ্কিত দাঁড়িয়ে আছেন। শতাধিক বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে এখানে। দেশত্যাগ করেছেন হিন্দু-মুসলিম অনেকেই।
চার.
কালীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে নিহত হয়েছেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম আলী, মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের কর্মী শেখ আলাউদ্দিন। বাড়িঘর ভাংচুর আর লুটপাট করা হয়েছে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মাজেদ আর সাধারণ সম্পাদক অমল কুমার ঘোষের। এই এক উপজেলাতেই ভাংচুর আর অগ্নি-সংযোগের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৪৫জন নেতাকর্মী। কালীগঞ্জের নলতায় যখন আমরা জনসভা করি, তখন সন্ধ্যা নেমে গেছে। অনেক মাসের মধ্যে এই প্রথম একটি জনসমাবেশ পেয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
তৃণমূল নেতাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বোধ এবং এলাকায় অনুপস্থিত সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যাপারে চরম অভিযোগে পাল্টাপাল্টি অবস্থান চোখ এড়ায় না।
পাঁচ.
আশাশুনির বুধহাটা বাজারে প্রথমেই সহিংসতার সাক্ষ্য হিসাবে দেখা গেলো চন্দন দেবনাথের 'সুলভ বস্ত্রবিতান'টি আর নেই। ১২ তারিখ রাতেই লুট করে আর আগুন জ্বালিয়ে শেষ করে দেয়া হয়েছে সব। পাশেই তরুণ ঘোষের ক্ষতিগ্রস্ত স্টুডেন্ট টেইলার্স। তিনি কোন কথাই বলতে পারলেন না।
সম্পন্ন ব্যবসায়ী রাজ্যেশ্বর দাসের বাগদা চিংড়ির ঘের লুট হয়ে গেছে, তার দাবি মোট ৩০ লক্ষ টাকার সম্পদ হানি হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এটিএম আখতারুজ্জামানের আনিসুল আক্তার ট্রেডার্স গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে গোবিন্দ ব্যানার্জীর কম্পিউটার দোকান, আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন যুগ্ম সম্পাদক সাজউদ্দিন সাজুর ঘড়ির দোকান। আগুন দেয়া হয়েছে রাসেল স্মৃতি এবং শ্রমিক লীগের অফিসে। আমরা পথসভা করেছি ভাঙ্গা শহীদ মিনারের পাদদেশে।
বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেলো এই থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি বা সিনিয়র কোন নেতা কেউ-ই দেখতে আসেননি ক্ষতিগ্রস্ত জনপদকে অভয় দিতে।
ছয়.
জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি তখনো। তবে সকলেই বলেছেন, যৌথ বাহিনীর অপারেশনের আগে যে অবস্থা ছিল সেখান থেকে উত্তরণ হচ্ছে। পথে পথে আমরা শত শত গাছের গুঁড়ি দেখেছি।
এইসব গাছ ফেলে অভাবনীয় কায়দায় রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করে, রাস্তা কেটে আসলে পুরো এলাকার জীবন বিপর্যস্ত করে ফেলা হয়েছিল। প্রশাসনিক এবং সাধারণ নাগরিকদের অনেক পর্যায়ে কথা বলেই জানা গেলো যে, ওই অঞ্চলটিকে রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলারই প্রচেষ্টা ছিল বলে তারা মনে করেন।
যৌথ বাহিনীর অপারেশনের বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও পথে-ঘাটে লোক চলাচল সীমিত ছিল। আতঙ্ক কাটছে না। চলতি পথে বিজিবি আর পুলিশের জোর প্রহরা।
কিন্তু পুলিশ প্রহরায় যে জীবন সে জীবনকে আর যাইহোক স্বাভাবিক বলা যায় না। সবচেয়ে বড় কথা, আতঙ্কের যে অভয়ারণ্যের ভেতর তারা ছিলেন, সেটি সমূলে উত্পাটিত না হওয়া পর্যন্ত এই আতঙ্ক কাটার কারণ নেই। আমাদের প্রতিনিধি দল কলারোয়া থেকে ফিরে আসার পরেই মৃত আজহারুল ইসলামের পরিবারে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসা হয়েছে।
কীভাবে কাটবে এই অবরুদ্ধ দশা?
আমাদের সামনে নির্যাতন ও তাণ্ডবের যতটুকু প্রকাশ পেয়েছে, তা প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি এবং তাণ্ডবের তুলনায় খুবই সামান্য এবং উপরিভাসা একটি অংশ বলে দাবি করেছেন প্রায় সবাই। গণমাধ্যমে সহিংসতা ও নির্যাতনের খবর যতটুকু প্রকাশিত হয়েছে বাস্তবে এর ভয়াবহতা অনেক বেশি।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রকৃত চিত্র উঠে আসা তো দূরে থাক, প্রচারিত হয়নি অনেক স্থানের কথা এমনকি গণমাধ্যমে পৌঁছায়নি। ভয়াবহ এই সহিংসতায় এবং নিরাপত্তার অভাবে সাতক্ষীরার গ্রামাঞ্চল থেকে অনেকেই গোপনে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আওয়ামী রাজনীতি করার অপরাধে জামায়াত-শিবির তাদের উপর ক্রমাগত সহিংসতা চালালেও তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। সীমান্তের পার্শ্ববর্তী এলাকা বলে চোরাচালানের অর্থনীতিও এই হামলাকারী শক্তিরই হাতে। তাদের অর্থনৈতিক শক্তি কত বেশি সেটি বোঝা যায় একটি মাত্র উদাহরণে যে, আন্তঃনগর বাস চলাচল চালু করা যাচ্ছে না কারণ বাসগুলোর মালিকরা জামায়াত-শিবিরের।
আমাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় যে জঙ্গি কার্যক্রম চলছে তার পেছনে আছে ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ইসলামী বাণিজ্যিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন ও সক্রিয় সহযোগিতা।
সীমান্তের পাশে অবস্থিত সাতক্ষীরায় জামায়াতের রাজনীতি বরাবরই শক্তিশালী। ভারতবিরোধী ও আওয়ামী-বিরোধী মনোভঙ্গি রয়েছে প্রবল। গত পাঁচ বছরে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা তো দূরে থাক, বহুধা বিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে আস্থা হয়ে দাঁড়াননি তারা।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতিকে সামাল দেবার কোন তাত্ক্ষণিক উপায় বাত্লানো খুবই মুশকিল। যৌথ বাহিনীর অপারেশন যে পর্যন্ত করেছে, সেগুলো ছিল প্রশাসনিক পদক্ষেপ। কিন্তু রাষ্ট্র ও জনগণের সেখানে থেমে গেলে চলবে না। প্রহরা থাকার পাশাপাশি কতগুলো কাজ আন্তরিকভাবে করা দরকার, নয়তো এইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামানো যাবে না। একই সহিংসতা আমরা দেখতে পাচ্ছি লালমনিরহাটসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও।
এই মুহূর্তে প্রয়োজন হলো আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করা। সরকারকে শক্ত হতে হবে। একই সাথে আহবান জানাই গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল দলগুলোর প্রতি, তারা যেন দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করে। গণমাধ্যমের বর্তমান দায়িত্বশীল ভূমিকা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘটনাগুলোকে তুলে আনার ক্ষেত্রে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
এসব সংবাদকে ব্ল্যাক-আউট করা যাবে না। এসব আশু কর্তব্য পালনের পাশাপাশি মূল যুদ্ধাপরাধী দল হিসাবে এবং সহিংস দল হিসাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোন বিকল্প নেই। সাতক্ষীরার সহিংসতার ধরন প্রমাণ করে এইসব সহিংসতা মোটেই নির্বাচন কেন্দ্রিক নয় বরং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বন্ধ করা ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে তারই প্রতিক্রিয়া। এমনকি বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে অস্বীকার করতেও তাদের দ্বিধা নেই। যারা একাত্তরে শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্র চায়নি এমন নয় বরং এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটন করেছে সেইসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করে রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেবার জন্য প্রয়োজনীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর যে পাঁয়তারা চলছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ গঠন করে এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাভূত করার কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও।
লেখকবৃন্দ:সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাংস্কৃতিক কর্মী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।