অবৈধ ব্যাংকিং, মানিলন্ডারিং, এমএলএম প্রতারণা প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এ জন্য সন্দেহজনক যে কোনো লেনদেনের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় অবৈধ ব্যাংকিং বা এমএএলএম প্রতারণা বন্ধে এবং এ বিষয়ে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনস্থ টাস্কফোর্স। টাস্কফোর্স মনে করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে মারাত্দক ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্য কুরিয়ার সার্ভিসকেও একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ শুরু করেছে। এটি অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, অবৈধ ব্যাংকিং ও মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসার প্রলোভনে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং কার্যক্রম প্রতিরোধে দেশের সব উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের সচেতন করার সুযোগ রয়েছে। যা ইতোমধ্যে দু-এক জায়গায় শুরুও হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে। যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে শীঘ্রই পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ওই প্রস্তাবনা পরবর্তীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সে অনুযায়ী সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালাবে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রগুলো।
অবৈধ হুন্ডি তৎপরতা, বিদেশে অর্থ পাচার এবং মানিলন্ডারিং তৎপরতা প্রতিরোধ ও দমনের কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে গঠিত কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের সভায় এই বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকে গত রবিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে দুটি মাল্টিপারপাস কোম্পানির কার্য-ক্রম বন্ধের সুপারিশ করা হয়।
আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং এর ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুধু জরিমানা করে কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে বৈঠকে সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, এ প্রক্রিয়ায় যে অর্থ পাচার হয় তা আদায়ে কোনো কার্যক্রম গৃহীত হয় না। অর্থ পাচারের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে বিধায় আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের তথ্য দুদককে দেওয়া হলে দুদক তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে বলে সভায় মতামত দেওয়া হয়।
এ ছাড়া এদেশে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করে অর্থ পাচার রোধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গত মে মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।