মহান আল্লাহতায়ালা সমগ্র মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একজন মানুষ দিয়ে; তিনি হলেন, হজরত আদম (আ.) আর তার থেকেই মানব জাতি বিস্তার লাভ করে। সুতরাং মানুষ হিসেবে সবাই সমান এবং সবারই অধিকার রয়েছে। বিশেষ করে মানুষের যেসব মৌলিক চাহিদা রয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে ধর্ম, বর্ণ, জাতি, এলাকা, স্থান, কাল, পাত্র ইত্যাদির কোনো পার্থক্য করা যাবে না। এই অধিকার যেমন ইসলামী রাষ্ট্র আদায় করবে, তেমনি রাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেক নাগরিকের আদায় করা কর্তব্য। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায় অমুসলিমদের অধিকার আদায়ের নিশ্চয়তা যতটা প্রদান করা হয়েছে, অন্য কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় তার লেশমাত্র নেই। তাদের এই অধিকার যতটা মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। তার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন হয় ইসলামী সুশাসন ও ন্যায়-নীতিপূর্ণ বিধিবিধানের কারণে। অমুসলিমদের অধিকার সমুন্নত রাখার ব্যাপারে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন- তোমরা মুসলমানরা আহলে কিতাব (অতীতে কিতাবপ্রাপ্ত জাতিরা) প্রাপ্ত লোকদের সঙ্গে ঝগড়া-ফ্যাসাদ, বাকবিণ্ডতা কর না। যদি করতেই হয়, তাহলে তা উত্তমভাবে করবে। অবশ্য যারা জালিম, তাদের ব্যাপারে এই নির্দেশ নয়, বরং তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি যা আমাদের প্রতি নাজিল হয়েছে তার প্রতি। আর যা তোমাদের প্রতি নাজিল হয়েছে তার প্রতিও। (সূরা আনকাবুত : ৪৬)
মহান আল্লাহ আরও বলেন- আল্লাহ তোমাদের (হে মুসলিমগণ) নিষেধ করেন না এ কাজ থেকে যারা দীনের ব্যাপার নিয়ে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেননি এবং তোমাদের ঘরবাড়ি থেকে বহিষ্কৃতও করেননি, তাদের সঙ্গে তোমরা কল্যাণময় ও সুবিবেচনাপূর্ণ নীতি অবলম্বন করবে। কেননা সুবিচারকারীদের তো আল্লাহ ভালোবাসেন। (সূরা আল মুমতাহিনা : ৮) সূরা আন-আমের ১০৮ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন- আর আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তারা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না। কেননা তারা পরিণামে সীমা লঙ্ঘন করে অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে বসবে। অমুসলিমদের অধিকার সম্পর্কে হাদিস শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে_ রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন : মনে রেখ যদি কোনো মুসলমান কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালায়, তার অধিকার খর্ব করে, তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি আল্লাহর আদালতে তার বিরুদ্ধে অমুসলিম নাগরিকদের পক্ষ অবলম্বন করব। (আবু দাউদ শরিফ : ৩০৫২)।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।