উপকূলের পূর্ব সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে গত তিন দিনে অর্ধশত মাছধরা ট্রলারে গণডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা জেলেদের মারধর লুটপাট শেষে ১০টি অপহরণ করেছে ট্রলারসহ অর্ধশতাধিক জেলে। পরে দেড় কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবিতে তাদের সুন্দরবনের গহিন অরণ্যে নিয়ে যায় অপরহণকারীরা। অপহৃত জেলে ও ট্রলারগুলো বাগেরহাট, পিরোজপুর ও বরগুনার বিভিন্ন উপজেলার। খবর পেয়ে গতকাল অভিযান চালিয়ে সাগরের কটকা এলাকা থেকে ২৪ জেলে ও একটি ট্রলার উদ্ধার করেছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।
মংলা কোস্টগার্ড ও উপকূলীয় মৎসজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সাগরের ফেয়ার ওয়ে বয়ার পশ্চিমে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা ওই সব ট্রলারে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন জানান, অপহৃতদের মধ্যে শরণখোলার চার জেলে রয়েছেন বলে তিনি খবর পেয়েছেন। এরা হলেন শাহীন, আলম, শাজাহান ও জাকির। পিরোজপুরের পারেরহাট মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন জানান, তাদের এলাকার তিন জেলে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছেন, এফবি আরিফ ট্রলারের মাঝি, এফবি রাজা-২'র মাঝি ও বেতবুনিয়ার বারেক। পাথরঘাটা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মান্নান বলেন, তার এলাকার ২০ জেলেসহ একটি ফিশিং ট্রলার অপহৃত হয়েছে। এছাড়া অন্য এলাকার আরও ২০ জেলে তিন দিনে জাহাঙ্গীর বাহিনী সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে বলে জেলেদের বিভিন্ন সংগঠন সূত্রে জানা গেছে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানান, কচিখালী শুকপাড়া এলাকায় জেলে অপহরণ হয়েছে বলে শোনা গেছে। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কোস্ট গার্ডের পশ্চিম জোনের (মংলা) অপারেশন স্টাফ অফিসার লে. কমান্ডার মহিউদ্দিন মজুমদার জানান, জেলেসহ মাছধরা ট্রলার অপহরণের খবর পেয়ে অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সাগরের কটকা এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় চার ও ডিমের চর থেকে ২০ জেলেসহ এফবি আবদুল্লা নামের একটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধার জেলেদের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।