অর্থনীতিতে যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার, ২০১৩ সাল শেষে তার চেয়েও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রেখে যাচ্ছে। অর্থনীতিতে ওই সময়ের চ্যালেঞ্জ ছিল বহিঃখাতের। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে শঙ্কা ছিল রপ্তানি খাত, রেমিট্যান্স প্রবাহ আর বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সহায়তা নিয়ে। ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়ে অভ্যন্তরীণ খাতে কর্মচাঞ্চ্যল্য আর চাহিদা বাড়িয়ে বাইরের ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছুটা সাফল্য দেখিয়েছে সরকার। কিন্তু নতুন বছরে নতুন সরকারের সামনে অর্থনীতির যে চ্যালেঞ্জ আসছে তা মূলত অভ্যন্তরীণ খাতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য সাফাই গেয়ে বলেছে, ২০১৩ সালে অর্থনীতি স্বস্তিতে ছিল। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স, রপ্তানি ও রিজার্ভ বেড়েছে। তারা আরও বলেছে, বছরের শেষ দিকে বাস্তব কারণেই অর্থনীতির সূচকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক মাসে টানা অবরোধ-হরতাল আর সহিংস কর্মকাণ্ডে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। ঋণ কেলেঙ্কারি আর দুর্বল মনিটরিংয়ের কারণে ব্যাংক ব্যবসায় নেমেছে ধস। নতুন শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ থেমে যাওয়ায় তারল্যের পাহাড় জমেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়। পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা অব্যাহত রয়েছে। শ্রম অসন্তোষ, রানা প্লাজা ধস আর যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি প্রত্যাহারসহ নানা ঘটনায় তৈরি পোশাক খাতেও চলছে অস্থিরতা। রাজনৈতিক অচলাবস্থা এমন পর্যায়ে পেঁৗছেছে, ব্যবসায়ীরা সাদা পতাকা নিয়ে মিছিল করে সরকারকে চরমপত্র দিয়ে বলেছেন, হয় ব্যবসা করার, নয় দেউলিয়া ঘোষণার সুযোগ দিন। ২০১৩ সালের শেষে এসে তাই বলা যায়, কেবল বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে রেকর্ড ছাড়া অর্থনীতির কোথাও কোনো সুখবর ছিল না। ২০১৩ সালে সামগ্রিক অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে যে ঘটনাগুলো তার মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা ছাড়াও রয়েছে পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে না বলে দেওয়া, রানা প্লাজা ধস, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা স্থগিত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি, পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে মন্দা, নতুন ব্যাংক-বীমা অনুমোদন, পিয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি। এ ছাড়া আগের বছরের অনেক ঘটনার রেশ টানতে হয়েছে চলতি বছরে। ডেসটিনি, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি, তাজরীন ফ্যাশনে অগি্নকাণ্ড এমনি নানা ঘটনা অর্থনীতির বুকে ক্ষত সৃষ্টি করেছে।
সামষ্টিক অর্থনীতি : বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বৃদ্ধি ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতির আর কোনো সূচকে ইতিবাচক ধারা দেখা যায়নি ২০১৩ সালে। অস্থিরতার মধ্যে রপ্তানি খাত অবশ্য প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে, তবে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও পণ্যের কাঁচামাল আমদানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব বজায় রয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে গত অর্থছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি নেমে এসেছে ১০০ কোটি ডলারেরও নিচে। গত অর্থবছরে এ খাতে আমদানি ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ডলার। আমদানি কমে যাওয়ায় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হচ্ছে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রথম পাঁচ মাসে ৪০ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৪৬ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। এডিপি বাস্তবায়নেও দেখা গেছে ধীর গতি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন ২৭৭ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬৮ কোটি কম। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শিল্পঋণ বিতরণ ৮ হাজার ৮৮০ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা দাঁড়ায়, যা গত পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে সবচেয়ে কম।
পদ্মা সেতু : দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সংযোগের লক্ষ্যে সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই এটি স্পষ্ট হয়ে যায়, মহাজোট সরকারের মেয়াদে হচ্ছে না সেতুটি। দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আগেই সরকার সংস্থাটির অর্থায়ন প্রত্যাখ্যান করে নিজ খরচে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয়। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, দেশের বৃহত্তম এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হলে যে কর্মযজ্ঞের সৃষ্টি হতো তাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ত প্রায় ১ শতাংশ।
নতুন ব্যাংক-বীমা অনুমোদন : বছরের শুরুতেই সাতটি নতুন ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এগুলো হলো ফার্মার্স ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড। শুধু তাই নয়, সরকারের শেষ সময়ে এসে গত সপ্তাহে রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও পাঁচটি বীমা কোম্পানির অনুমোদন দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ। এগুলো হলো আলফা ইসলামী লাইফ, স্বদেশ লাইফ ইনস্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ, যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্স ও ডায়মন্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স। এর আগে ৪ জুলাই ১১টি বীমার অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব ব্যাংক-বীমা কোম্পানির লাইসেন্স পাইয়ে দিতে তদবির করেছেন সরকারের উচ্চ মহল এবং সরকারি দলের নেতারা।
ঋণ কেলেঙ্কারি, মূলধন ঘাটতি ও ব্যাংক খাতে মুনাফাহীনতার বছর : আগের বছরের হল-মার্ক ঋণ কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে ২০১৩ সাল শুরু করে দেশের ব্যাংকিং খাত। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শত শত কোটি টাকার কেলেঙ্কারির তথ্য বেরিয়ে আসে। ফলে মন্দ ঋণের চাপ বাড়তে থাকে। এসব ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন ঘাটতি রাখতে গিয়ে একদিকে ব্যাংকগুলোর মুনাফায় টান পড়ে অন্যদিকে মূলধন সংকটে ভুগতে থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের মোট মূলধন ঘাটতি দাঁড়ায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা মূলধনী সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এদিকে, ২০১৩ সালকে ব্যাংকিং খাতের মুনাফাহীনতার বছর বলা যায়। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে তালিকাভুক্ত তফসিলি ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমেছে ৪৮ শতাংশের বেশি। ২০১৩ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে ৩০টি ব্যাংকের মুনাফা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা হয়েছে, যা ২০১২ সালের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে মন্দা পরিস্থিতির কারণে ব্যাংক খাতে জমছে অলস টাকার পাহাড়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় অলস টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। আগের বছর এটি ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকার নিচে।
পুঁজিবাজারে মন্দা : আগের বছরের রেশ ধরে ২০১৩ সালের প্রায় পুরোটা জুড়েই পুঁজিবাজারে মন্দা অব্যাহত ছিল। সরকারের প্রণোদনায় বছরের শেষ দিকে ডিএসই ও সিএসইর সূচক কিছুটা বাড়লেও তা মন্দাবস্থা কাটাতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনা দিয়ে, আইন সংশোধন করে, ডি-মিউচুয়ালাইজেশনের ধুয়া ছড়িয়ে সরকারের পক্ষ থেকে মন্দা কাটানোর চেষ্টা চালানো হলেও পুঁজিবাজার নতুন করে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। বছরের শুরুতে ডিএসই সূচক ছিল ৪ হাজার ৫৫ পয়েন্ট। সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে। অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, পুঁজিবাজারে মন্দার পেছনে সরকারের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতা, রানা প্লাজা ধস ও যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি স্থগিতাদেশ : পোশাক খাতে সবচেয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে চলতি বছরের মার্চে সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা। ওই ভবন ধসে সহস াধিক শ্রমিক নিহত হয়। এরই রেশ ধরে দেশের কারখানায় শ্রম পরিবেশের উন্নতি এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে সোচ্চার হয় পশ্চিমা বিশ্ব। বছরের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র রপ্তানি খাতে দেওয়া জিএসপি সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেয়। জিএসপি স্থগিতের পর শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন সুবিধা দেওয়া, মজুরি বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক কারখানায় অস্থিরতা কমেনি। এর পরও চলতে থাকে শ্রম অসন্তোষ। বছরের শেষ দিকে এসে নভেম্বরে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টে আগুন দেয় দুষ্কৃতকারীরা। যেখানে প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে মালিক পক্ষ। অন্যদিকে, টানা অবরোধে পোশাক খাতের রপ্তানি চালান আটকে যায়। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীদের জাহাজের পরিবর্তে পণ্য পাঠাতে হয় বিমানে। এতে কেবল অক্টোবর ও নভেম্বরে ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
টিকফা সই : যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের দীর্ঘ ১১ বছর পর গত নভেম্বরে টিকফা সই করে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়ক একটি ফোরাম গঠনের লক্ষ্যে ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়তা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
রিজার্ভে রেকর্ড : হরতাল-অবরোধের মধ্যেও বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে নতুন রেকর্ড হয়েছে। এরই মধ্যে রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যা ১ লাখ ৪০ হাজার কোটির সমান। রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা টাকা আগের তুলনায় শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংক আইন পরিবর্তন : চলতি বছরের অক্টোবরে সংসদে গ্রামীণ ব্যাংক আইন পাস করা হয়। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে করায়ত্ত করতে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়, নতুন আইনের মধ্য দিয়ে তাকে বৈধ করা হয়। এ আইন পাসের মধ্য দিয়েই শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্র ঋণে সারা বিশ্বে নজির সৃষ্টি করা প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারের কর্তৃত্ব কায়েম করা হয়।
পিয়াজের দামে রেকর্ড : চলতি বছর অক্টোবরে পিয়াজের দাম ওঠে ১২০ টাকায়। দেশের ইতিহাসে এত দামে আর কখনো পিয়াজ বিক্রি হয়নি। বছরের মাঝামাঝি থেকেই বাড়তে থাকে পণ্যটির দাম, যা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এত দীর্ঘ সময় ধরে পণ্যটির দাম বেশি থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগ থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় দাম কমানো যায়নি পণ্যটির।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।