সৌদি সরকার সে দেশে অবস্থানরত বিদেশি শ্রমিকদের কাগজপত্র বৈধ করতে আরও দুই মাস সময় দিয়েছে। ২ জানুয়ারি থেকে কার্যকর নতুন সময়সীমায় যেসব শ্রমিক এখনো তাদের কাগজপত্র বৈধ করতে পারেননি তারা কোনো শাস্তি ছাড়াই নিজেদের বৈধ করার সুযোগ পাবেন। সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে কয়েক হাজার বাংলাদেশি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্মর্তব্য, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি শ্রমিকদের কাগজপত্র বৈধ করার জন্য ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাত মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে অনেকের পক্ষে কাগজপত্র বৈধ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের জন্য শাস্তির আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সৌদি সরকারের নতুন ঘোষণায় তারা নিজেদের বৈধ করার জন্য ৬০ দিনের সময় পাবেন। সৌদি আরবে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের এক বড় অংশ ভিসার শর্ত ভঙ্গ করে ভিন্ন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ায় তাদের বৈধতা হারায়। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যারা সে দেশে রয়েছেন তারাও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত। সৌদি আরব বাংলাদেশি শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় বাজার। কয়েক বছর ধরে সৌদিতে নতুন বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রায় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সে দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আয় আসে সৌদি আরব থেকে। আশা করা হচ্ছে বৈধ হওয়ার মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শ্রমিক উপকৃত হবে। আমরা সৌদি আরবে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি শ্রমিকদের বৈধতা অর্জনের সুযোগকে একটি স্বস্তিদায়ক ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই। আশা করি যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক এখনো বৈধ হতে পারেননি তাদের কাগজপত্র ঠিক করতে সে দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সম্ভাব্য সব সহায়তা দেওয়া হবে। ভ্রাতৃপ্রতিম এ দেশটিতে নতুন করে শ্রমিক রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টিতেও সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করা হবে। সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ধর্মীয় কারণে দুই দেশের মধ্যে যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান তার বিকাশেও সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।