আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি নিতান্তই অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাল্পোস্ট

আমার শোবার ঘরে প্রথম ভোরে আকাশ ঢোকে বাতাস ঘোরে, ছাদভাঙা তাই একটি নাটাই, আর একটি ঘুড়ি... আমার ভাঙা মেঝেয় শুয়েই আমি ঘুড়ির সাথে উড়ি খবর-০১ বিএসএফ এর হাতে চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে আরো দুই বাংলাদেশী নিহত। খবর-০২ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, "আত্মরক্ষার প্রয়োজনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালাতে পারবে" কিছু বুঝলেন কেউ? আমি ভাই বুঝি নাই। আমরা কি তাহলে সীমান্তে খুন হওয়া নিরীহ এই মানুষগুলোকে আমাদের দেশের নাগরিক বলে ধরছিই না? এদের কি পরিবার নেই? এদের কি সংসার নেই? এরা কি মানুষই না? এদের বাবা মা ভাই বোন কি কাঁদে না? তাহলে প্রতিবাদ নেই কেন? কেন আমরা রাস্তায় নেমে আসছি না? কেন ক্রোধে/ক্ষোভে ফেটে পড়ছি না? কেন আমরা বিশ্ব মিডিয়ায় তুলে ধরতে পারছি না? কেন ভারতের সাথে বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করছি না? আর কেনই বা সরকার প্রকারান্তরে তাদের পক্ষেই সাফাই গাইছে? আমি শুধু বুঝি বড় সব পোস্টে বসে থাকা ওই আমলারা না, এই স্বাধীন দেশে যাদের জীবনের কোন মূল্যই নেই, একাত্তরে দেশ স্বাধীন করতে তাদের ভূমিকাই ছিল বেশি। স্ত্রী সন্তান ফেলে তারাই জীবন নিয়ে দেশের জন্য ছেলেখেলা করেছে। এই নিরীহ কৃষক/দিনমজুর/গরু ব্যাবসায়ী- চরমতম আত্মত্যাগ তারাই দেখিয়েছিল। আসলে গুছিয়ে লিখতে পারছি না আমি কিছুই। ধীরে ধীরে আত্মগরিমাহীন একটি জাতিতে পরিণত হচ্ছি আমরা। সীমান্তে হত্যার বিষয়টিকে কোন গুরুত্বই দিচ্ছি না আমরা। নিশ্চিত থাকুন, ভবিষ্যতে সীমান্তে হত্যার বিষয়টি পত্রিকা কিংবা ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেও আসবে না কারন দৈনিক পাঁচ দশ জন বাঙালী খুন হওয়া হবে খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়- ডালভাতের মত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.