আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অকবিতা

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই পথ হারানো এক পথিক আমি আজিকার, অনেক কিছুই জানি অথচ কোন কিছুতে নেই। আচ্ছা দুর্বোধ্যতার রঙ কেমন হয়? সরলতার ভাষা কি? কবিতাকে কি হতেই হবে দুর্বোধ্য, না হলে সে কি পদ্যই থেকে যায়! কোন যুগে আমার বাস? আধুনিক নাকি অত্যাধুনিক! কেমন সাহিত্য করবো রচনা? লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ নাকি সাদা- কালো; ভোরের আলো ফুটছে, আরো ফুটবে যতদিন সূর্য বেঁচে আছে। জানি একটি উপমাও করতে পারিনি ব্যাবহার তাই কবিতা হয়ে উঠলো না- বড়ই অগোছালো হল, তাতে হলটা কি শুনি? আমি চিৎকার করে বলবো, লিখবোনা একটি কবিতাও, কবিতা কি আমার সিগারেট খাওয়ার পয়সা জোগাতে পারে? কবিতা লিখি বলে কি কোন রমনী এসে বলেছে এই নাও আমার দেহ, তোমার লেখা কবিতার বিনিময়ে; যা আজকের বাজারে ন্যাকা-ন্যাকা ভালোবাসার কথার বিনিময়ে পাওয়া যায় সহজেই! অনেক লাইনের শেষে ক্রিয়াপদের ব্যাবহার, দেখতে নাকি সুন্দর হয়না। সবকিছুকেই কি হতে হবে সুন্দর? কুশ্রীরা কি বেঁচে থাকেনা! তারা কি দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হয়না! তাহলে আমার লেখা অনুভূতির অগোছালো লাইনগুলো কেন শুধু মাত্র কবিতা হয়ে উঠবেনা! কোন সমালোচক বলবে যে, আমার লেখাগুলো কবিতা নয়; কে সে? কার এতো বড় সাহস! সে কি পারবে বলতে এই অথর্ব লোকগুলো রাষ্ট্র প্রধান নয় অন্য কিছু। কেন এ অবিচার? কবিতার লাইনে পারমানবিক অস্ত্র থাকেনা বলে! আমি ভরবো, কবিতার বিশ্রী লাইনগুলোতে বিছিয়ে রাখবো এ কে ফোর্টি সেভেন; রাশি রাশি বোমা কবিতার অগোছালো গ্রন্থিতে রাখবো বেঁধে। তারপর দেখি কে আসে অকবিতা বলতে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।