রংপুরে বছরজুড়ে ছিল খুন, ধর্ষণ, সড়ক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। ২০১৩ সালে ১৫৫টি খুন, ২০৫টি ছিনতাই, ২৬টি সড়ক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই হয়েছে মাইক্রোবাস, ১৪টি অটোরিকশা ও ১০৫টি মোটরসাইকেল। ২০১২ সালে ১০৮টি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। এ ছাড়া ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ধস ও গাজীপুরে আসওয়াদ নিটিং অ্যান্ড ডায়িং কারখানায় অগি্নকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মধ্যে রংপুর ২০ জন শ্রমিককে অকালে হারানো ছিল আলোচিত ঘটনার অন্যতম। এরচেয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে বদরগঞ্জে রানা প্লাজা ধসের নিহতদের লাশের গাড়ি আটকিয়ে ডাকাতির ঘটনা।
জেলা পুলিশের তথ্যানুযায়ী এ বছর স্কুল শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ছাত্র ও ছাত্রদল নেতাসহ খুন হয়েছেন ১৫৫ জন। গড়ে প্রতি মাসে ১৩ জন মানুষ খুনের ঘটনা ঘটে জেলায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুর রহিম, স্কুল শিক্ষক এরশাদুল হক, ডিস ব্যবসায়ী রতন মিয়া, জেলা ছাত্রদলের আইন সম্পাদক শাহীন আলম, কলেজ ছাত্র মঈনুল হক, পলিটেকনিক ছাত্র শাকিল আহমেদ, স্কুল ছাত্র রতন রায় তপন হত্যাকাণ্ড। পারিবারিক সহিংসতায় ৫৫টি খুনের ঘটনাও ঘটে এ বছর। ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়। এ ছাড়া ধর্ষণের বিচার না পাওয়ায় অপমান ও ক্ষোভে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্দহত্যা করে স্কুল ছাত্রী আফরোজা বেগম। ২৮ ফেব্রুয়ারি মিঠাপুকুর উপজেলায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে নিহত হন ছয়জন। জামায়াত-শিবিরের হামলায় পীরগাছায় মারা যান পুলিশ কনস্টেবল মোজাহার আলী। ভাঙচুর করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক যানবাহন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।