সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সৈয়দপুরের নড়িয়াডাঙ্গা এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশ থেকে সদর উপজেলার টুপমারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের (২৯) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ইউনিয়নের সুখধন গ্রামের কারী ফজলুল হকের ছেলে আতিকুর নীলফামারী সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ছাত্র।
নীলফামারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আখতার জানান, আতিকুর ১৪ ডিসেম্বর নীলফামারীর রামগঞ্জ বাজারে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ি বহরে হামলায় হতাহতের ঘটনা এবং টুপামারী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি।
সকাল ১০টার দিকে সৈয়দপুরের নাড়িয়া ডাঙ্গা থেকে লাশ উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের কাছে ছবি দেখে তাকে সনাক্ত করেন আতিকুরের ভাবী রেহেনা পারভীন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইলের দেবিডুবা গ্রামের বাবুল খানের বাড়ি থেকে আতিককে ডিবি পুলিশ ‘ধরে নিয়ে যায়’।
তারপর তার আর কোনো খোঁজ তারা পাননি।
তবে সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ কবির জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিহতের কোন স্বজন থানায় আসেননি।
জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোর্শেদ আযম জানান, নিহত আতিক টুপামারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রামগঞ্জের সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় এ নিয়ে দুই আসামির লাশ উদ্ধার করল পুলিশ।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পর ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দেশের অন্যান্য স্থানের মতো নীলফামারী সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজারেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় দলটির কর্মীরা।
পরদিন শনিবার ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান সাংসদ ও বর্তমান সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
ফেরার পথে রামগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধ নিহত হন টুপামারী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা লেবু মিয়া, ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, তার ছোট ভাই যুবলীগ কর্মী মুরাদ হোসেন ও পথচারী আবু বক্কর ছিদ্দিক।
ঘটনার রাতেই পরিদর্শক বাবুল নীলফামারী থানায় একটি মামলা করেন।
এতে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫শ’ জনকে আসামি করা হয়।
শনিবার সদর উপজেলার পলাশবাড়ী থেকে এ মামলার প্রধান আসামি গোলাম রব্বানীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রব্বানী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।