দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন সভ্য সমাজের নিয়ম হওয়া উচিত। নিজেদের সভ্য সমাজের অংশ হিসেবে দাবি করলেও এ সমাজে দুষ্টদের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার মতো দুর্জনের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। তাদের দমনে প্রশাসনের হম্বিতম্বির সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়াও প্রায়শই দায় হয়ে দাঁড়ায়। এ বিড়ম্বনার কারণেই অপরাধীরা এ দেশে যা ইচ্ছে তাই করার সুযোগ পায়। যাদের স্থান হওয়া উচিত কারাগারের নিভৃত কক্ষে তারা আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে অনায়াসে ফিরে আসে লোকালয়ে। জিম্মি করে তোলে জননিরাপত্তা। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। তাদের লোকালয়ে ফেরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপরাধীরা নতুন নতুন অপরাধ সংগঠনের যেমন প্রস্তুতি নিচ্ছে তেমন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বোদ্ধাজনদের মধ্যে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী সন্ত্রাসীরা ছাড়া পেলে তাদের দৌরাত্দ্যে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতির সুযোগে পেশাদার সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। এ সুযোগে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে আটক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসীরা দেশে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে। জেলে এবং বিদেশে বসে তারা পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর নেতৃত্ব দিত। এখন সামনে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকার রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকায় এ বিষয়ে নজর রাখার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে জননিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা মনে করি, উন্নয়নের স্বার্থে সন্ত্রাস দমনে সরকারকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। সন্ত্রাসীদের ওপর প্রশাসনের তীক্ষ্ন নজর রাখাই শুধু নয়, তাদের সব অপতৎপরতা রোধে উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো হেলাফেলা কাঙ্ক্ষিত নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।