আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সোনালী ব্যাংক ডাকাতি

সোনালী ব্যাংক ও আর্থিক কেলেঙ্কারি বহু আগে থেকেই সমার্থক শব্দ হিসেবে পরিচিত। ঋণ কেলেঙ্কারিতে এ ব্যাংকটি ইতোমধ্যে রেকর্ড স্থাপনে সমর্থ হয়েছে। ডাকাতির দিক থেকেও নতুন রেকর্ড স্থাপিত হলো কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার ভল্টরুম থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুটের ঘটনায়। দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির পর রবিবার দুপুরে ব্যাংকের ভল্টরুম খোলার পর বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটের বিষয়টি ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার পূর্ব পাশের একটি বাড়ি থেকে মাটির নিচ দিয়ে ২৫ ফুট দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করে ডাকাতরা ভল্টরুমে প্রবেশ করে এবং টেবিলের ওপরে রাখা ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ব্যাংকের নিরাপত্তার জন্য নিচতলায় পুলিশ ব্যারাক রয়েছে। তাদের অন্ধকারে রেখেই সংঘটিত হয়েছে ডাকাতি। ঘটনার পর ব্যারাকে কর্মরত ৮ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের সম্পর্ক থাকতে পারে। ব্যাংক কর্মচারীরাও সন্দেহের ঊধের্্ব নয়। একজন ব্যাংক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকে এ সময় অন্তত আড়াইশ কোটি টাকা ছিল। দুর্বৃত্তরা ভল্টরুমের টাকা রাখার জায়গায় পেঁৗছতে পারেনি। ভল্টরুমের টেবিলে রাখা টাকা নিয়েই তারা কেটে পড়ে। পাশের বাড়ির যে ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে সুড়ঙ্গ কাটা হয়েছে সে এখন উধাও। কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের ভল্টরুম থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ডাকাতি ব্যাংকিং খাতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাংক ভবনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ব্যারাক থাকা সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট হয় কীভাবে? এ লুটের সঙ্গে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত কিনা তাও তদন্ত হওয়া উচিত। দুর্ভাগ্যের বিষয়, দেশে এ পর্যন্ত যেসব ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর তদন্ত খুব বেশি এগোয়নি। সন্দেহভাজন দু-একজনকে গ্রেফতার করেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দায়িত্ব সেরেছে। কিশোরগঞ্জের ব্যাংক ডাকাতির ভাগ্য যাতে একই ধরনের না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো মূল্যে ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে আমরা

এমনটিই দেখতে চাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.