সকালে উইকেট দেখেই একাদশ সাজিয়েছে দুই দল। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে মিরপুরের এবারের উইকেটের বাউন্স অনেক বেশি। সেটাকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন লঙ্কান বোলাররা। উইকেটের বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ২৩২ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন লাকমাল ও ইরাঙ্গা। দুজনের গতি, বাউন্সের সঙ্গে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ছাড়া পেড়ে উঠেননি আর কোনো ব্যাটসম্যানই। ঘরের মাঠ হওয়া সত্ত্ব্বেও প্রথমদিনে গুটিয়ে যাওয়ার জন্য সাবেক অধিনায়ক সাকিব দুষেছেন ব্যাটসম্যানদের। সকালের ময়েশ্চারকে পুরোপুরি কাজে লাগান দুই লঙ্কান পেসার। গতি, বাউন্সের মিশেলে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলে ছাড়েন তারা। তাদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইন। হারিয়ে বসে ৫৯ রানে ৪ উইকেট। সেখান থেকে সাকিব ও টাইগার অধিনায়ক মুশফিক যোগ করেন ৮৬ রান। দুই ব্যাটসম্যান যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন উইকেটের আচরণকে সাবলীল মনে হয়েছে। বক্তিগত ৫৫ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়া সাকিব গতকাল পোস্ট ম্যাচে সেটা স্বীকারও করেছেন, 'আমি যতক্ষণ ব্যাটিং করেছি, আমার কাছে উইকেটকে ভালো মনে হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের পৌনে চারশ রান করা উচিত ছিল। কিন্তু আমাদের ব্যর্থতায় সেটা হয়নি। আমার বিশ্বাস, এই উইকেটে রান পাওয়া খুব সহজ ছিল। ঠিক ততটাই কঠিন ছিল উইকেট পাওয়া।' উইকেটের বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে প্রতি ওভারেই এক-দুটি বাউন্সার হাঁকিয়েছেন লঙ্কান পেসাররা। তবে অধিকাংশ সময়ই শর্ট বল করেছেন তারা। সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য বল সিলেকশনে সমস্যা হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। সাকিব মনে করেন প্রতিপক্ষের বোলাররা যতটা ভালো বোলিং করেছেন, ঠিক ততটাই বাজে ব্যাটিং করেছেন ব্যাটসম্যানরা, 'ওরা ভালো বোলিং করেছে। আমরা বাজে ব্যাটিং করেছি। অবশ্য আমি মনে করি তারপরও দুই দলের ভালো ও মন্দের মিশেলের পারফরম্যান্স ছিল। খেয়াল করলে দেখবেন, প্রথম ৮-১০ ওভারে উইকেট (৩৫/১, ৯.৩ ওভার) পড়েনি তার মানে উইকেটে যে সমস্যা ছিল সেটা নয়। তারা আমাদের বিট করেছে সেটা ঠিক নয়। আমরা উইকেট বিলিয়ে দিয়েছি। ব্যাটসমানরা পারেনি। এখন বোলারদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে।' মার্শাল আইয়ুব, মুশফিকুর রহিম ও নাসির হোসেনের আউট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বাপারে সাকিব বলেন, 'এগুলো আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত তারাই দেন। টেলিভিশন রিপ্লেতে অনেক সময় দেখা যায়, সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এসব নিয়ে আসলে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। অবশ্য নাসিরের সিদ্ধান্তটা অন্যরকম হতে পারত।' উইকেটের বাউন্স নিয়ে বলেন, 'খাটো লেন্থে বল করবে এটা ওদের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শর্ট বলে আমাদের কয়টি উইকেট পড়েছে? মুমিনুল, নাসির হোসেন। নাসিরের সিদ্ধান্তটা অন্যরকম হতে পারত। মুমিনুলেরটা সামনে থেকে লাফিয়ে উঠেছে।' গতকাল বাংলাদেশ প্রায় দুই বছর তিন পেসার নিয়ে ঘরের মাঠে খেলেছে। এ বিষয়ে বলেন, 'এটা টিম ম্যানেজম্যান্টের বিষয়।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।