গরমে আরামে থাকতে দরকার রুচিসম্মত আরামদায়ক পোশাক। বড়দের মতো শিশুদেরকেও এক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হয়। শিশুদের অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া থেকে সর্দি, কাশি সমস্যা হতে পারে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বেড়ে যায় ডায়রিয়া ও আমাশয়ের ঝুকি।
শিশুদের ক্ষেত্রে
* শিশুদেরকে আরামদায়ক সুতি পোশাক পরতে দিন।
সিনথেটিক পোশাকে অস্বস্তিকর গরম আর ঘামে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
* শরীর ঘেমে গেলে টিস্যু, রুমাল অথবা নরম কাপড় দিয়ে বারবার মুছে দিন।
* শিশুদেরকে খোলামেলা পরিবেশে রাখুন। যাতে সহজে ঘরে পর্যাপ্ত আলোবাতাস ঢুকতে পারে।
* বারবার তরল খাবার খেতে দিন।
ঘরে তৈরি স্যালাইন ও ফলের রস খাওয়ান।
* শিশুদেরকে বেশি করে মৌসুমি ফল খেতে দিন। মৌসুমী ফল মৌসুমী রোগ প্রতিরোধ করে।
বড়দের ক্ষেত্রে:
* ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সুতি বা আরামদায়ক ঢিলেঢালা পোশাক নির্বাচন করুন।
* ছাতা ও রোদ চশমা সঙ্গে রাখুন।
এতে চোখের ওপর অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব কম পড়বে।
* সাথে পানি রাখুন। এক্ষেত্রে ঘরের ফুটানো পানি বেশি নিরাপদ।
* মাথায় পরতে পারেন সাহেবী টুপি। এতে ধুলাবালী থেকে চুল থাকবে সুরক্ষিত।
* ফুটপাতের খোলা খাবার, আঁচার বা ফলের শরবত খেতে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
* তৃষ্ণা মেটাতে সফট ড্রিংসের পরিবর্তে ডাবের পানি খান।
* ঘরে ফিরে কিছুটা সময় বিশ্রামের পর শরীর মুছে ফেলুন।
* গরমে ভাজাপোড়া খাবার যত কম খাওয়া যায় ততো ভালো।
* প্রয়োজন না থাকলে রোদে বেশি সময় বাইরে থাকবেন না।
বৈশাখের শুরুর আগে থেকেই দরকার বাড়তি সচেতনতা। সারাদিন বদ্ধ ঘরে না থেকে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন ঘরের বাইরে। শিশুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন পার্ক কিংবা আশেপাশের উদ্যানে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।