আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না নির্মাণ কাজ

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। এক বছরে প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না প্রকল্প। ফলে এ প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর বাড়িয়ে ২০১৩ ডিসেম্বরের স্থলে ২০১৬ ডিসেম্বর নির্ধারণের প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সেই সঙ্গে প্রকল্প ব্যয় আরও প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শীত ও শুষ্ক মৌসুম এসব বড় নির্মাণ কাজের জন্য উপযুক্ত সময়। ফলে বর্ষা আসার আগেই প্রকল্পের মূল কাজগুলো গুছিয়ে নিতে চায় বাস্তবায়নকারী সংস্থা এলজিইডি। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে নিয়মিত কাজগুলো বিঘি্নত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংস্থা। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকার সড়ক খুব ব্যস্ত ও অপ্রশস্ত হওয়ায় সংযোগ লাইনগুলোর অপসারণ বেশ জটিল। ফলে সার্বিক কাজকর্ম আশানুরূপ গতিতে চলছে না।

এদিকে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের কর্মযজ্ঞের সঙ্গে ওই এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। রাস্তার আশপাশে যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় বাংলামোটর থেকে মগবাজার পর্যন্ত রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পের পুরো এলাকা রাত-দিন প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধুলোয় অন্ধকার হয়ে থাকে। এতে একদিকে যান ও মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, অন্যদিকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের অপূরণীয় ক্ষতি করছে এই ধুলাবালি। প্রকল্পের কাজ এলোমেলো হওয়াতে এমন ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রকল্পের পরিচালক নাজমুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে না পারার কারণে প্রকল্প ব্যয় কিছুটা বাড়বে। তবে কত বাড়বে তা এখন নির্ধারণ করা হয়নি। প্রকল্প এলাকার পরিবেশ রক্ষায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো অবহেলা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। গত এক বছরে মাত্র ১৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে- এটা যথেষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমদিকের কাজগুলোতে সময় একটু বেশি লাগে। পাইলের কাজগুলো সম্পন্ন হলে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

জানা গেছে, মগবাজার-মৌচাক নকশা অনুযায়ী ফ্লাইওভারে ১৪৭টি পাইল (মাটির নিচের পিলার) রয়েছে। এর মধ্যে ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৩৫টির। এ ছাড়া কোনো কোনো পয়েন্টে এখনো কাজই শুরু হয়নি। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে কাজের গতি আরও কমে যাবে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এলজিইডির তথ্যমতে, চার লেনবিশিষ্ট এ ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য হবে ৮ দশমিক ২৩ কিলোমিটার। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেবে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) ও ১৯৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা দেবে ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি)। অবশিষ্ট ২০০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ায় এর মোট ব্যয় বেড়ে ৯০০ কোটি টাকার কাছাকাছি যেতে পারে বলে জানা গেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.