'নো কম্প্রোমাইজ' নীতিতে চলে গেছে ফিফা। বিশ্বকাপের ভেন্যু হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারছে কই ব্রাজিল! শ্রমিক ধর্মঘট এবং বিক্ষোভের কারণে স্টেডিয়ামের কাজ অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। এরপর আর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি তারা। বছর শেষ হওয়ার আগেই সবকটি ভেন্যু বুঝিয়ে দিতে হবে ব্রাজিলকে। কিন্তু বিবিসির এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সময়ের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে আছে বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল। এখনো ছয়টি স্টেডিয়ামের কাজ পুরো হয়নি। এর মধ্যে চারটি স্টেডিয়ামেরই কাজ ২০ ভাগের বেশি বাকি রয়েছে। বাকি দুটিরও ১০ শতাংশের বেশি কাজ বাকি। বিবিসি বলছে, কুইয়াবাতে সময়ের আগে স্টেডিয়ামের কাজ শেষ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। তাছাড়া এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়নি। এর ফলে এই শহরে ফুটবল দর্শকদের খুবই অসুবিধায় পড়তে হবে। ফিফা আগেই বলেছিল বিশ্বকাপের জন্য আটটি ভেন্যু প্রস্তুত করতে।
অনেক দেনদরবার করে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ভেন্যু করল ১২টি। কিন্তু এখন প্রস্তুত করতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে তারা। তবে কি ব্রাজিল সামর্থ্যের তুলনায় কিছুটা বেশিই গলাধঃকরণের চেষ্টা করেছে! এমন বিস্ময় এখন দেখা দিতেই পারে। কিন্তু ফিফার কাছে এসব অজুহাতের কোনো মূল্যই নেই। বছর শেষ হওয়ার আগে বিশ্বকাপের সব ভেন্যুর নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে তারা। এদিকে ব্রাজিলের রাস্তায় শুরু হয়েছে 'নো ওয়ার্ল্ড কাপ' স্লোগান। তবে এই আন্দোলনের কর্মী ব্রুনো বুভেনতোরা বিবিসিকে বলেছেন, 'আমরা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানের বিরোধী নই। কিন্তু এই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে জনগণের অনেক ক্ষতি করা হচ্ছে।' এ আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। তবে বিশ্বকাপ আয়োজনের সব চেষ্টাই অব্যাহত রেখেছে ব্রাজিল। এখন দেখার বিষয়, ফিফার হুমকিটা গ্রাহ্য করে সময়ের আগেই ভেন্যুগুলোর কাজ শেষ করতে পারে কিনা ব্রাজিল। না হলে স্পেন এবং জার্মানি কিন্তু ফিফার হাতে 'অপশন' হিসেবে থাকছেই!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।