বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী কঠোর অবস্থান নেওয়ায় নিজেদের রক্ষার দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বিদ্যা ব্যবসায়ীরা। নিজেদের মালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয় নামাঙ্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব রক্ষায় তারা বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কোনো কোনো অসৎ কর্মকর্তা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আইন লঙ্ঘনে মদদ জোগাচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের কাছ থেকে তারা নাকি মাসহারাও পেয়ে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, মঞ্জুরি কমিশনের কোনো কোনো সদস্য বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সাফাই গাওয়াকে নিজেদের কর্তব্য বলে মনে করেন। কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তারা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে দেনদরবারও নাকি করে থাকেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কোনো কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর আনুগত্য কার্যত বিদ্যা ব্যবসায়ীদের কাছে বাধা। তারা বেসরকারি বিদ্যালয়ের মালিকদের স্বার্থরক্ষার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের জড়িত করেছেন। ফাইল থেকে তাদের কাছে পেঁৗছে দেন গোপন সিদ্ধান্তের ফাইল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাস থাকা বাধ্যতামূলক হলেও ৭৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১৭টির নিজস্ব ক্যাম্পাস রয়েছে। প্রতিষ্ঠার সাত বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। বারবার সময় দেওয়া সত্ত্বেও তা আমলে আনার চেষ্টা করেনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সর্বশেষ এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপন ও অন্যান্য শর্ত পূরণ করা না গেলে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে হুশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে মূলধারার মধ্যে ফিরে আসতে না পারলে ব্যর্থ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিক্ষা সচিবের ভাষ্য, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারবে না তাদের সাময়িক সনদ বাতিল করা হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম বন্ধে সরকারের প্রত্যয় অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। তবে এ ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকতে হবে। শুধু ক্যাম্পাস স্থাপনের বিষয় নয়, শিক্ষা কার্যক্রম ঠিকমতো চলছে কিনা সেদিকেও নজর রাখতে হবে। শিক্ষাকে যাতে শুধু বাণিজ্যের উপকরণ বানানো না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।