রোববার সকাল ৯ টার দিকে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে মাইক কেড়ে নেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাছে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পাশেই ফাটানো হয়েছে ককটেল।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে রোববারও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সব অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোর আশেপাশে অবস্থান নেন।
আবাসিক হলগুলো থেকেও খন্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে জড়ো হন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে এবং দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন ও তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের তালা ভেঙে দেয়।
পুলিশ রবীন্দ্র কলা ভবন ও শহীদুল্লাহ কলা ভবনের তালা ভাঙার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে তাদের মাইক কেড়ে নেয় বলে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন।
এরপর প্রক্টর তারিকুল হাসান মিলন এসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করলে শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে প্রশ্সনিক ভবনের কাছে জড়ো হন।
এর পরপরই ওই ভবনের পাশে দুটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।
প্রক্টর তারিকুল হাসান মিলন রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষার্থীদের একটি দাবি মেনে নেয়ার পরও তারা আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পায়তারা করছে- এটা মোটেই ঠিক নয়। ”
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বর্ধিত ফি স্থগিত করলেও তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে সান্ধ্যকোর্স বন্ধ হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দিন শনিবার বর্ধিত ফি আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিলেও সান্ধ্যকোর্স চালু রাখার কথা বলায় শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান।
এ সময় মুন্নুজান, বেগম রোকেয়া, খালেদা জিয়া আবসিক হলের ছাত্রীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে দেখা যায়।
‘বর্ধিত ফি বাতিল কর’, ‘শিক্ষা বাণিজ্য এক সাথে চলে না’- ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহ মখদুম হল গেইটের সামনে পরপর দুটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও কেউ আহত হননি। রাতে সোহরাওয়ার্দী হলের ভিতরে আরেকটি হাতবোমা ফাটানো হয়।
এদিকে পুলিশ রাত ১১টার দিকে পাঁচটি হলে তল্লাশি করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি বলে মতিহার থানার ওসি শামসুর নূর জানান।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।
”
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও কলা অনুষদের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স চালু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ফি দুই থেকে পাঁচ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এরপর গত ১৬ জানুয়ারি থেকে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। ‘বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বিরোধীশিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই আন্দোলন বৃহস্পতিবার ধর্মঘটে গড়ায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।