দশম সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৪৪ হাজার ৭৯টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রায় অর্ধেক কেন্দ্রেই বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় চার্জার লাইট চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি শেষে ৩০ অক্টোবর ভোটকেন্দ্রের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৮ হাজার ৮৯৫টি কেন্দ্রে (প্রতিষ্ঠান) বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলে তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসির আইটি অনুবিভাগ। এসব কেন্দ্রে ভোট দেওয়া ও গণনার সুবিধার্থে অন্তত দুটি করে চার্জার লাইটের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য একটি দাতাসংস্থাকে চাহিদার কথা জানানোও হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, ভোটকেন্দ্র বাছাইয়ের জন্য একটি নীতিমালাও করেছে কমিশন। এবার রাজনৈতিক দলের নেতার নামে প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র রাখা হচ্ছে না। আড়াই হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আর ৬০০ পুরুষ ও ৫০০ মহিলা ভোটারের জন্য একটি বুথ বা ভোটকক্ষ থাকবে। কর্মকর্তারা জানান, ২২ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত শেষ হবে। ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তালিকা জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে টাঙানো হবে। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র সম্পর্কিত অভিযোগ নেওয়া হবে। আর ২৪ অক্টোবর অভিযোগ নিষ্পত্তি করে ৩০ অক্টোবর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৯ কোটি ২১ লাখের কিছু বেশি। ভোটার সংখ্যা অনুপাতে এবার ৪৪ হাজার ৭৯টি কেন্দ্র দাঁড়াবে। নবম সংসদে ৮ কোটি ১০ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৫ হাজার ২৬৩টি (ভোটকক্ষ ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৭৭টি)। জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা) মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, 'কেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকলে ভোট গণনাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে অসুবিধা দেখা দেয়। নির্বাচনে পঞ্চম সংসদ বা ১৯৯১ সাল থেকে ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে দেশের সব কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ হবে। এর আগেই আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে।' কর্মকর্তারা জানান, এবার ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বা শীতকালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে জন্য বিদ্যুৎবিহীন ভোটকেন্দ্রে দুটি করে চার্জার লাইট সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে। আপদকালীন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ৭০ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৬০০ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটের দুই দিন আগে থেকে ভাড়া করে জেনারেটর রাখারও ব্যবস্থা থাকছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।