নওগাঁর চাঞ্চল্যকর চার পুলিশসহ পাঁচজন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তদের দণ্ড কমানো এবং খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও জেল আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জনের মধ্যে দুজনের দণ্ড বহাল এবং দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর বাকি ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আরও ছয়জনের দুজনকে খালাস এবং চারজনকে দশ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বাকি পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া নুরুল ইসলাম শাহীন ও তহুরুল ইসলামের দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। একই দণ্ড পাওয়া দিলীপ ও তমালকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. শফিকুল ইসলাম (পিতা- মোবারক), শফিকুল ইসলাম (পিতা- হাবিবুর রহমান), আবুবকর সিদ্দিক, নুরুন্নবী হাসান, পিন্টু ও সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আহমেদ শাহ নুরুল ও খায়রুল ইসলামকে খালাস দেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন পাওয়া বাকি চার আসামি রঘুনাথ বর্মণ, আবদুল করিম, হাজী আজিম উদ্দিন ও সানাউল ইসলামের সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে দণ্ড দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে ১০ বছরের সাজা পাওয়া আবদুল মান্নান, আবদুল আউয়াল, রবিউল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন ও মাজেদকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০০৬ সালের ২৫ আগস্ট নওগাঁ জেলার মান্দা থানার চৌবাড়িয়া কলেজ মাঠের গরুর হাটে ইজারাদার অফিসে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত বোমা হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে চার পুলিশ সদস্যকে গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।