শীতের আগমনী হাওয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ঠিকানাবিহীন অতিথি পাখির দল ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে হাজির হয় নদী ও বঙ্গোপসাগরে ঘেরা এ অঞ্চলে। লোকালয়ের চরগুলোতে এসব পাখির উপস্থিতি একটু কম চোখে পড়লেও অবাধ বিচরণের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেয় বন বিভাগের সংরক্ষিত বিস্তীর্ণ এলাকার চরগুলো। একদিকে আগুনমুখা নদী থেকে চরমোন্তাজ-চর আন্ডা হয়ে সাগরবক্ষে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ম্যানগ্রোভ বাগান সমুদ্রসৈকত সোনারচর পেঁৗছাতে পথে পথে দৃষ্টি কেড়ে নেয় অতিথি পাখির দল।
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা চর আন্ডা, সোনারচর, চর শাহজালাল, চর তুফানিয়া, চর বাঁশবাড়িয়া, ফেলার চর, চরমজিদ, জাহাজমারার চর, মৌডুবিরসহ শতাধিক এমন ডুবোচর রয়েছে। উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালী সূত্রে জানা গেছে, এ জেলার বনভূমি ও চরাঞ্চলে যেসব পাখি বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো, কমন শেল ডাক, রাডি শেল ডাক, মেলাড, পসার্ড, পিন টেইল ডাক, কটন টিল, কমন পসাড, টাপটেড ডাক, গ্রিন স্যাংপাইপার, কারলিউ, উইমরেল, গডওয়াল, বার-হেডেড গুস, সুভেলার, স্পুন-বিল স্যাং পাইপার, স্কিমার, আইবিচ, পভার, লেপউইং, গার্লসহ হরেক প্রজাতির জলচর অতিথি পাখি।
পাখির মুক্ত বিচরণ এলাকাগুলোতে মানুষ বসবাস শুরু করায় পাখি আসা কমে যাচ্ছে বলে জানান পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা মিহির কুমার দে। উপকূলীয় এলাকায় অতিথি পাখি নিরাপদে রাখার জন্য পাখি শিকার থেকে বিরত থাকায় ওইসব এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সঞ্জয় কুমার দাস, পটুয়াখালী
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।