হাকালুকি হাওরে যেন পাখির মেলা বসে বছরের এ সময়টাতে। পাখির কলতানে মুখর থাকে পুরো হাওরাঞ্চল। পর্যটকদের মুগ্ধ করে হাওরের বাতাসে পাখির দল যখন ডানা ঝাপটিয়ে তোলে অনুরণন। হাওর অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলায় ছোট-বড় সাতটি হাওরের অবস্থান থাকলেও স্থান পায়নি দেশের হাওর উন্নয়ন প্রকল্পে। জেলা সদরে অবস্থান রয়েছে সদর উপজেলার উত্তর-পশ্চিম এলাকাজুড়ে বড় হাওরের অবস্থান। রাজনগর উপজেলার উত্তর দিকে রয়েছে হাওর কাউয়াদীঘি। শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিমাংশে রয়েছে হাইল হাওর। কমলগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে কেওলা হাওর এবং রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছে আরেকটি ছোট হাওর করাইয়া। কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা তিন উপজেলাকে ঘিরে অবস্থান করছে এশিয়া মহাদেশের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বৃহৎ হাওর হাকালুকি। এ হাওরে শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি ও পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে। হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর। এর আয়তন ১৮,১১৫ হেক্টর। হাকালুকি হাওরের স্থায়ী জলাশয়গুলোতে বিভিন্ন জাতের উদ্ভিদ জন্মে। এক সময়ের অন্যতম আকর্ষণীয়, ভাসমান বড় বড় গাছপালা এখন আর নেই। চাতলা বিলে ছোট আকারের এ রকম একটি বন আছে। বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের একটা বড় অংশ রয়েছে হাওরাঞ্চলে, তন্মধ্যে হাকালুকি হাওর এলাকায় অধিকাংশ বিল ভরাট হয়ে গেছে। সময়মতো বৃষ্টি হয় না, বা যখন হয়, তখন একসঙ্গে অতিবৃষ্টি হওয়ার ফলে হাওর পানিতে ভরে গেলেও তা স্থায়ী হয় না, ফলে মাছ আসে না। এতে মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। অভিজ্ঞদের বক্তব্য থেকে এর বিস্তারিত কারণ জানা যায় তা হলো, সময়মতো পানি না হলে মাছ ডিম ছাড়তে পারে না। বৃষ্টি হলে পানির তাপ কমে, এ সময় মাছ ডিম ছাড়ে। মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।