এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার দ্বিতীয় নিকৃষ্টতম শহর অভিধায় অভিহিত করা হলো বাংলাদেশের রাজধানী দুই সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত মহানগরী ঢাকাকে। মাত্র এক মাস আগে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঢাকাকে বিশ্বের সবচেয়ে বসবাস অযোগ্য নগরী হিসেবে অভিহিত করেছিল। সেদিক থেকে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মারসারের প্রকাশ করা কোয়ালিটি অব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সিটি র্যাংকিং ২০১৪-এর তালিকায় প্রধান প্রধান এশীয় নগরগুলোর মধ্যে ঢাকাকে বসবাসের অনুপযুক্ততার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থান দেওয়া নিঃসন্দেহে এক অগ্রগতি। স্মর্তব্য, মারসার জরিপ চালিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বসবাসের উপযুক্ত কিংবা বসবাসের অনুপযুক্ত নগরীর তালিকা প্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন নগরীর রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা, অপরাধের মাত্রা, প্রাকৃতিক পরিবেশ, আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ, চিকিৎসা সুবিধা, শিক্ষার সহজলভ্যতা, বিনোদন, পণ্যপ্রাপ্তিসহ জীবনযাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩৯টি বিষয় বিবেচনা করে রেটিং দেওয়া হয়। তালিকায় বসবাসের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভালো নগরী হচ্ছে ভিয়েনা। শহরটি ইউরোপেরও এক নম্বর নগরী। জরিপে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে নিকৃষ্ট শহর হিসেবে বাগদাদকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম শহরও বটে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসগর অঞ্চলের সবচেয়ে নিকৃষ্ট শহর হলো তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে। দ্বিতীয় স্থানটি ঢাকার। রাজধানী ঢাকা ইতোমধ্যে যানজটের নগরী হিসেবে দুর্নাম কিনেছে। ২০১৩ সালজুড়ে এ মেগা সিটি ছিল রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার। যানবাহনে পেট্রলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে অহরহ। জননিরাপত্তাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল রাজনৈতিক সহিংসতার কুশীলবরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আক্রমণাত্দক ভূমিকাও ছিল রাজধানী ঢাকার যাচ্ছেতাই অবস্থার এক সাধারণ চিত্র। ফলে দেড় কোটি মানুষের এই মহানগরীকে বসবাসের অযোগ্য নগর হিসেবে বদনাম কিনতে হয়েছে। এ অবস্থার অবসানে ঢাকাকে মানুষের বসবাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করাই এ মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঢাকার নাগরিক নিরাপত্তার দিকে যেমন নজর দিতে হবে তেমন বাড়াতে হবে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন ধারণের সুযোগ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।