প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছে সংসদের বাইরে থাকা প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আগামী সোমবার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর এক আত্দীয় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সেখানে ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছেন। তারা কাবিখা, টেস্ট রিলিফসহ নানা উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি সরাসরি লঙ্ঘন করছেন। এভাবে বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। গতকাল সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় দলের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার পীরগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাসুরের ছেলে ছায়াদত হোসেন বকুল। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। রিজভী আহমেদ বলেন, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফার ফলাফল দেখে সরকার কাণ্ডজ্ঞানহীন ও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সেজন্য তারা বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে এবং গুম করে নিয়ে নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের এসব দুষ্কর্মের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ইসি যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে এবার এলাকায় এলাকায় আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি আরও বিস্তৃত হবে। উপজেলার প্রথম দফা নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সমর্থিতরা ৯৫ ভাগ উপজেলায় নির্বাচিত হতো। দফতর সম্পাদক বলেন, সম্প্রতি ঢাকা মহানগরে বিএনপির ছয় নেতা-কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। প্রতিদিন অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত ৪ ডিসেম্বর সাজেদুল ইসলাম সুমন, জাহিদুল করীম তানভীরসহ ছয়জনকে র্যাব-১ এর কালো গাড়িতে করে একদল সাদা পোশাকের লোক তুলে নিয়ে গেছে। এর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে খোঁজাখুঁজি করলেও তারা এখন অস্বীকার করেছে। ওইসব নিখোঁজ পরিবারের সদস্যসহ আমরা সবাই তাদের সন্ধানের আশায় বিনিদ্র রজনী যাপন করছি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।