আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুলনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১৭

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুরে খুলনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১০ জনকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক এইচ এম হোসেনুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি পক্ষ সরকারি আজম খান কমার্স কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় প্রতিপক্ষ নগর ছাত্রলীগের সভাপতি দেব দুলাল বাড়ৈ বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ জামাল সুজনের পক্ষের নেতা-কর্মীরা কলেজের প্রধান ফটক আটকে দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রাসেল, মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিরণ হাওলাদার, ছাত্রলীগ কর্মী সালাহ উদ্দিন, বাবু সরদার, কাজী ডলার, হামিদ, সাকিল, জয়, মাসুদুর রহমান ও রাজিবকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দিকে বাপ্পী-সুজন গ্রুপের আহত ছাত্রলীগ কর্মী আবির, আশেষ, রায়হান, পার্থ, ওমাং, দিপ্ত ও জুুবায়েরকে ক্লিনিক ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ হাজরা খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার জন্য বহিরাগত ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন। অপর দিকে বিকালে ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম হোসেনুজ্জামান গ্রুপ খুলনা মেডিকেলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার জন্য মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়ী করে বলেন, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি দেব দুলাল বাড়ৈ বাপ্পী একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার লোকজন নগরীর কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে মাদক ব্যবসা করছে। তাদের মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.