জীবনের মুহূর্তগুলো ভালবাসার স্পর্শে রঞ্জিত হোক,জীবনের মুহূর্তগুলো স্বাধীনতার স্পর্শে মুখরিত হোক ** ইস, কি অবস্থা চেহারাটাই ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে ।
দেহটাকে ছুড়ি দিয়ে ছেড়া-বেড়া করে ফেলেছে ??
“কিসে করেছে বাঘ /কুমিরে ধরেছিল নাকি ?”
পোষ্টমার্টমে ইন্টার্নি ডাক্তাররা তার স্যারকে জিজ্ঞেস করছে
দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন স্যার, “ওর ভাই ওকে ক্ষতবিক্ষত করেছে”
‘নিজের ভাই ?? বলেন কি স্যার এমন করেছে বোনকে ‘
চোখ ছানাবড়া করে তাকিয়ে আছে তরুন ডাক্তারটি ।
“হমম ভাইটি সিজোফ্রানিয়ার রোগী ছিল, বোনকে হিংসে করত ।
১০ বছরের পুরানো রোগী, মা মারা যাবার দুদিন পর একলা
পেয়ে মেয়েটির এ হাল করেছে। মেরে রক্ত পান করছিল ।
“
বেশ ঠান্ডা গলায় বয়স্ক ডাক্তারটি বলছেন। একটা হাই তুললেন।
“ইস, মানুষ কি করে পশু হয় স্যার, কি দোষ ছিল মেয়েটির
ওর কি বিয়ে হয়নি?’ খুব বেশী উত্তেজিত তরুনটি শুধাচ্ছে ।
‘নাহ সে সুযোগ ওর হয়নি। বেশী ভদ্র মেয়ে ছিল।
“
একটা হাসি দিয়ে কাহানীটা জমানোর চেষ্টা করছেন
আর তার ছাত্রদের উত্তেজিত দিকগুলি উপভোগ করছেন।
“আহা মেয়েটিকে কি কেউ ভালবাসত না । ‘ ওরা বেশ
গভীরভাবে চিন্তা করছে অচেনা মেয়েটির জন্য কষ্ট পাচ্ছে।
“এসব ভাল মেয়েদের কেউ জগতে মায়া করে না।
সবাই মেয়েটিকে নিয়ে স্বার্থ আদায় করে ভুলে যেত।
যেহেতু কখনও কারো সাথে ফাজলেমি করেনি তাই কেউ খোঁজ নিত না । “
নিজের জীবনের ভদ্র মেয়েটির কথা ভেবে কষ্ট অনুভব করলেন ।
“আহা এই অবস্থা, কেন ভাল মানুষদের সাথে এমন হয় ...”
এইবার কেন জানি সিরিয়াস গলায় ও কেমন জানি
স্যারকে বেশ ভাবান্তর দেখা গেল, কেমন জানি আবেগ গলায় বললেন,
“তার উত্তর নেই, শুনেছি কিছু মানুষ মারা যাবার পর বুক চাপড়ে কেঁদেছে
তাঁরা নাকি ওকে ভালবাসত, কিন্তু এতদিন বুঝেনি এখন মরে যাবার পর বুঝেছে । “
মেয়েটি নাকি অনেকেরই জীবন বদলে দিয়েছিল, সবার ভাল চাইত।
মেয়েটির মুখ ঢেকে দিলেন চাঁদরে, আল্লাহ ওকে বেহেস্তে নসীব করুক ।
ওর প্রতি মানুষের মায়াটা আরো আগে আসলে আজ ও বেঁচে থাকত।
তাকিয়ে দেখেন ওনার সব কটি ছাত্র- ছাত্রীর চোখে জল ,
নিজের অশ্রুটা মুছে করিদোরের দিকে বেরিয়ে গেলেন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।