আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি বিভৎস ছবির ব্যবচ্ছেদ

uব্লগিং করলে নাকি জাতে উঠা যায় !জাতে ওঠার তীব্র আকুলতায় কোথাকার ছবি বলতে চাচ্ছি না । মধ্যবয়স্ক এক বাবার তার পরিবারকে বাচাতে করজোরে এই করুন মর্মস্পর্সী আবেদন যদি বুকের ভিতর মনুষত্ব বলে কিছু থাকে তবে অবস্যই নাড়া দেবে । যাদের দেবে না তাদের জন্য এই পোষ্টটি সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই না । নিচের ছবিটি দেখুন তিনটি শিশু যাদের এখন পুতুল খেলার কথা তারা এখন খেলছে জীবন মরন খেলা । রোহীঙ্গা,আরকান,হিন্দু,বৈীদ্ধ,মুসলমান হাতের পুতুলের চেয়ে গুরুত্বপুর্ন হতে পারে নি।

সাগরের ঢেউয়ে দোল খাচ্ছে ওদের অনিশ্চিত জীবন। সামনে বিস্তীর্ন জলরাশি পেছনে সাক্ষাত মৃত্যু। এত কিছু বোঝার বয়স হয়ত হয়নি কিন্তু বাবা মায়ের আতংক তাদের গ্রাস করেছে । কী আতংক গ্রস্থ চোখ !! এদের পায়ের তলায় মাটি নাই পানি আছে । অজস্র জলরাশি ।

আর একটি ছবি এটি একটি সাধারন দৃশ্য । প্রচন্ড দু:সময়ে মা তার সন্তানদের এভাবে আগলে রাখবে এটাই ত সাভাবিক । যুদ্ধের ময়দানেও সন্তান পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকে । স্বপ্নে খেলা করে । স্বপ্নেই তার বসবাস ।

পাশের ছেলেটি দুর্বল হাতে হয়ত মাকে সাহস দিচ্ছে । মায়ের কাছে তার প্রতিটি সন্তানই বীরপুরুষ । একবার ভাবুন তো এই সমস্ত মানুষের কোন দেশ নাই ,জাতি নাই ,কোন জাতীয় সংগীত নাই ,কোন ইতিহাস নাই,কোন মুজিব নাই,জিয়া নাই কেবল ধর্মই আছে যা তাদের বিপদকে আরো বেগবান করছে । বলছি না ওদের বাঙ্গালী বানাতে হবে । বলছি কেবল ঠাইত দিতে পারি ।

কারন অন্য কিছু নয় ওরা মানুষ আমরাও মানুষ । একই বিশ্বের নাগরিক । মানুষ মানুষের জন্য । মান্না দে নাই গানের আবেদন টা এখনও আছে । পরিশেষে আরিফ জেবতিক এর আজকের স্টাটাস টা : আজ দুপুরে আমার টেবিলের সামনে বসে একজন খুব কচকচ করে মানবতার কথা বলছিলেন।

আমি আমার মনিটর ঘুরিয়ে তাঁকে ধর্ষিতা এবং নির্মমভাবে বিকৃত রাখাইন মেয়েটির ছবি দেখলাম। তারপর প্রশ্ন করলাম, 'ধরুন, আমাদের দেশে এক মুসলমান মেয়েকে ৩ জন হিন্দু মিলে এরকম রেপ করেছে আপনার এলাকায়। আপনি কী করবেন তখন?' ভদ্রলোক আমার ফাঁদ বুঝলেন না। তিনি হাত মুঠি করে, পেশী শক্ত করে, দাঁত কিড়মিড় করে বললেন, ‌'এলাকার সব াাউনকে লাথি দিতে দিতে হিমালয় পর্যন্ত নিয়া যাব। ' আমি তীক্ষ চোখে তাকিয়ে থাকলাম তারদিকে।

মানুষ বড়ই উদ্ভট প্রাণী, ধর্ম-রাষ্ট্র-আত্মীয়তা ভেদে সে মানবতার সংজ্ঞা পাল্টে দেয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.