চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলছে ভয়াবহ গ্যাস সংকট। চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ অর্ধেকের সামান্য বেশি হওয়ায় সংকট মহানগরীর অর্ধকোটি মানুষকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা ৪০ কোটি ঘনফুট। সরবরাহের পরিমাণ ২১ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট। বন্দরনগরীর এক বড় অংশে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। বাকলিয়া, অঙ্েিজন বহদ্দারহাট, লাভলেইন, আশকার দিঘিরপাড়, সাগরিকা রোড, জামালখান, পাহাড়তলী, পতেঙ্গা, হালিশহরসহ অনেক এলাকায় গ্যাসের সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এবারের শীত মৌসুমে এ সংকট ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। গ্যাসের অভাবে বন্দরনগরীতে রান্নাবান্না শিকেয় উঠতে বসেছে। বন্ধ হতে চলেছে কলকারখানা। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো অচল হয়ে পড়ছে গ্যাসের চাপ না থাকার কারণে। চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড। তারা বলছেন, গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। গত বছরের অক্টোবরে সাংগু গ্যাস ফিল্ড বন্ধ হয়ে যায়। সেমুতাং গ্যাস ফিল্ডের সরবরাহ এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসে। চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে এ দুটি গ্যাসক্ষেত্র ছিল বড় ভরসা। এর একটি বন্ধ এবং অন্যটির সরবরাহ কমে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে না। চট্টগ্রামে যে গ্যাস সরবরাহ করা হয় তার অর্ধেকই গ্রাস করে কাফকো, সিইউএফএল, কর্ণফুলী পেপার মিল ও দুটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ফলে গৃহস্থালি কাজসহ অন্য ক্ষেত্রে গ্যাসের ব্যবহারে টান পড়ে। ভয়াবহ গ্যাস সংকট চট্টগ্রাম মহানগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাপনে যেমন অপপ্রভাব রাখছে, তেমনি শিল্প-কলকারখানার উৎপাদনের জন্য বিসংবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে সাগর উপকূলে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার ও উত্তোলনে নজর দিতে হবে। স্থলভাগে নতুন কোনো গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারেও অনুসন্ধান চালাতে হবে। সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানির সম্ভাব্যতা নিয়েও ভাবা দরকার।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।