যদি কোনো অংশের মাংসপেশির কর্মক্ষমতা হারায় তখন রোগী শরীরের ওই অংশের নাড়াচাড়া করার ক্ষমতা হারান। এ অবস্থাকে প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত বলা হয়ে থাকে। আমাদের সমাজে এ রোগ নিয়ে অনেক কুসংস্কার রয়েছে। যা ভিত্তিহীন। প্যারালাইসিস রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে পুনর্বাসন তথা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। প্যারালাইসিসের প্রধান কারণ হচ্ছে_ রোগীর স্নায়ু বা নার্ভাস সিস্টেম অকেজো হওয়া। স্নায়ুই মূলত মানুষের মাংসপেশিতে একপ্রকার বৈদ্যুতিক শক্তি প্রেরণ করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচড়া করতে সাহায্য করে। প্যারালাইসিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে একিউট বা ক্ষণস্থায়ী অবস্থা এবং ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা_ দুভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। একিউট স্টেজে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্যারালাইসিসের কারণ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। আর ক্রনিক স্টেজে দেখা যায়, রোগীর শরীরের এক পাশ প্যারালাইসিস বা যে কোনো এক হাত বা এক পা বা দু'পা বা চার হাত পা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হতে পারে। প্যারালাইসিস রোগীকে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে এবং এর মাধ্যমে প্যারালাইসিস রোগীকে পুনর্বাসন করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা এ ধরনের রোগীকে মানসিকভাবে আস্থা জোগাতে হবে।
ডা. মো. সফিউল্যাহ্ প্রধান চেয়ারম্যান, ডিপিআরসি, ঢাকা।
ফোন : ০১৭১৬৩০৬৯১৩
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।