দুই প্রতিবেশীর লড়াই হবে একপেশে; এটাই ছিল স্বাভাবিক। দিন শেষে তাই হয়েছে। এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান উড়িয়ে দিয়েছে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা আফগানিস্তানকে। হারিয়েছে ৭২ রানে। অবশ্য আসরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান হেরেছিল শ্রীলঙ্কার কাছে।
৮৯ রানে আহমেদ শেহজাদের আউটের পরপরই ক্রিজে আসেন উমর আকমল। উইকেটে থিঁতু হতে পারেননি তখনও। পরের ওভারের প্রথম বলেই অধিনায়ক মিসবাহ উল হক সাজঘরে ফিরেন রান আউটের খড়গে পড়ে। ২৭ নম্বর ওভারে তুলে মারতে যেয়ে আউট হন শোয়েব মাকসুদ। ১০৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল বড় স্কোর গড়তে পারবে না এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান।
কিন্তু উইকেটের এক পাশে ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করে দলকে টেনে নিয়ে যান উমর আকমল। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পাশাপাশি দলের পাশে লেখান সন্মানজনক ৮ উইকেটে ২৪৮ রান।
৯১ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে আকমল অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ৮৯ বলের আগ্রাসী ইনিংসটিতে আকমল ৭টি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন। অবশ্য শুরুতে ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ৫০ রান করেন ৭৪ বলে।
টার্গেট ২৪৯ রান। ওভার প্রতি প্রায় ৫ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে খুব বড় নয়। কিন্তু এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে খেলার মতো অভিজ্ঞতা না থাকায় ৪৭.২ ওভারে ১৭৬ রানে গুটিয়ে যায় আসরের নবাগত দলটি। এর আগে দুই দলের প্রথম মুখোমুখিতে ৭ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান।
কাল ৬৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল নবাগত দলটি। আর তখনই টেনশন বাড়তে থাকে পাকিস্তানের। আজগর স্ট্যানিকজাই ও নওরোজ মঙ্গল তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন। দলীয় ৩৭ নম্বর ওভারের শেষ বলে আফ্রিদির বলে স্ট্যানিকজাই আউট হলেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আফগানদের সব প্রতিরোধ। ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে।
এর নেতৃত্ব দেন স্পিনার মোহাম্মদ হাফিজ ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।
আসরে আফগানিস্তানের পরের ম্যাচ ১ মার্চ, প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ২ মার্চ পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।