নগরীর পতেঙ্গায় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি যমুনা অয়েলের একটি ট্যাংকারে অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যার এ ঘটনায় ট্যাংকারে কর্মরত নয় শ্রমিককে অগি্নদগ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ শ্রমিকেরা হলেন_ মো. লোকমান (৫৫), খায়ের আহমেদ (৫০), জবিহ (৪০), জামসেদ (৪৫), জামাল (৪৫), হাসান (৫০), নাজিম (৪০), শামসু (৫০) ও আবদুর রহিম (৩০)। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন জানান, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে নগরীর পতেঙ্গা যমুনা অয়েলের টার্মিনালে ট্যাংকারে ওয়েল্ডিং করার সময় ট্যাংকার থেকে তেল বের হয়ে অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ওয়েল্ডিং করার কথা অস্বীকার করে যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ট্যাংকার পরিষ্কার করার আগে ওয়েল্ডিং হবে কোথা থেকে। তেল এক ট্যাংকার থেকে অন্য ট্যাংকারে স্থানান্তরের সময় অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, বেডে শুয়ে দগ্ধ শ্রমিকরা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বার বার চিকিৎসকদের আকুতি জানাতে দেখা গেছে। আবদুর রহিম নামে দগ্ধ এক শ্রমিক বলেন, 'তেল এক ট্যাংকার থেকে অন্য ট্যাংকারে নেওয়ার সময় বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিক আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে ১১ নম্বর ট্যাংকারের ছাদও উড়ে যায়। দগ্ধরা আগুনের মাঝখানে পড়ে যাওয়ায় বের হতে পারেননি। আমি এক পাশে থাকায় তাড়াতাড়ি সরে যেতে পেরেছি। তারপরও দুই পা পুড়ে গেছে।'
হাসপাতালের বেডে থাকা দগ্ধ এক শ্রমিক কাতরাতে কাতরাতে বলছেন, 'ভাই টাকা যা লাগে দিব। একটু তাড়াতাড়ি ওষুধ দেন না। যন্ত্রণায় তো মরে যাচ্ছি। এখানে কি কোনো এসি নেই। একটু ঠাণ্ডা কিছু দেও না ভাই।'
চট্টগ্রাম মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শহীদুল গনি বলেন, 'দগ্ধ শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোনো অবহেলা যাতে না হয় আমি নিজে উপস্থিত থেকে তদারক করছি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।'
বার্ন ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিশমা ইসলাম বলেন, 'কত শতাংশ পুড়ে গেছে তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে অধিকাংশ শ্রমিকের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।