আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিএসপি ফিরে পেতে হবে

জিএসপি ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্র আবারও শর্তারোপ করেছে। বাংলাদেশের শ্রম আইনে অধিকতর সংশোধন আনার পরামর্শ দিয়েছে তারা। ইপিজেডের শ্রম আইনও আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দফতর ইউএসটিআরের প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে বৈঠক করে এ সংক্রান্ত একটি বার্তা হস্তান্তর করেছে। জিএসপি ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ সরেজমিন খতিয়ে দেখতে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবে এমন তথ্য দিয়ে বার্তায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে নতুন সরকার ক্ষমতায় বসার পর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কোনো প্রতিনিধি দলের সেটিই হবে প্রথম সফর। 'ইউএস নন পেপার' শীর্ষক ওই বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত নেওয়া সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শ্রম পরিবেশের এমন অগ্রগতি হওয়া উচিত যাতে তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করতে পারেন। স্মর্তব্য, আগামী মে মাসে বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত আবারও পর্যালোচনা করা হবে। তার আগে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। ইউএসটিআরের দেওয়া বার্তায় জানানো হয়, এপ্রিলের ৭ তারিখে তারা ঢাকায় টিকফার প্রথম বৈঠক করতে চান। এ উপলক্ষে চার সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে। যারা সরেজমিন শ্রম পরিবেশ, ট্রেড ইউনিয়ন পরিস্থিতি ও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ খতিয়ে দেখবে। তারা সফরকালে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, গার্মেন্ট মালিক, শ্রমিক প্রতিনিধি ও এনজিগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জিএসপি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে নতুন করে শর্তারোপের কথা স্বীকার করা হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ মতো শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। এখন চলছে আইনের বিধিমালা প্রণয়ন। আমাদের মতে, জিএসপি ফিরে পাওয়ার সঙ্গে দেশের সুনাম যেহেতু জড়িত সেহেতু এক্ষেত্রে সরকারকে দেশের স্বার্থেই ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.