মঙ্গলবার সংসদ ভবনে দশম সংসদের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ‘ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে’ তারা এ তাগিদ দেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “সংসদ সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। পুরো জাতি আপনাদের (সংসদ সদস্য) দিকে তাকিয়ে থাকে। সংসদ চলার সময় আমরা সকলে সংসদে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করব। ”
সংসদ সদস্যদের অন্য কাজের জন্য এক অধিবেশন থেকে অন্য অধিবেশনের মধ্যে যে ৬০ দিন বিরতি থাকে,তা ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে স্পিকার আরো বলেন, “সময় দ্রুত ফুরিয়ে যায়। পরে মনে হতে পারে, অধিবেশনে তো বেশিক্ষণ থাকা হল না। ”
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাহরণ দিয়ে স্পিকার বলেন, “যদি রেকর্ড দেখি তাহলে দেখা যাবে অন্য যে কোনো সংসদ সদস্যদের চেয়ে মাননীয় সংসদ নেতা বেশি সময় সংসদে থাকেন। অনেক সময় অধিবেশন কক্ষে না থাকলেও তিনি তার অফিসে বসে সংসদ মনিটর করেন। ”
দশম সংসদকে কার্যকর রাখতে নতুন সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান শিরীন শারমিন।
দশম সংসদে প্রায় প্রতিদিনই সংসদের কোরাম না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের ১৫-২০ মিনিট পরে অধিবেশন শুরু হতে দেখা যায়। এছাড়া অধিবেশন কক্ষে অনেকেই কিছু সময় থেকে চলে যান।
গত নবম সংসদেও সংসদ সদস্যদের লবি থেকে অধিবেশন কক্ষে আনতে বিভিন্ন সময় হুইপদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
সংসদ সদস্যরা উপস্থিত হতে দেরি হওয়ায় সময় ‘নষ্ট’ হয় উল্লেখ করে প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, “অনেক সময় ২০ মিনিটের বিরতি ৪০ মিনিট হয়ে যায়। আপনাদের অনুপস্থিতির কারণে এটা হয়।
সংসদ চলাকালে কোথাও গেলে বা অনুপস্থিত থাকলে নিজের মর্যাদাই ছোট হয়।
“অনেককে দেখি লবিতে থাকেন। লবিও সংসদ কক্ষের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সংসদ চলার সময় সকলকে সংসদ কক্ষে থাকতে হবে। ”
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, “ভালো পার্লামেন্টারিয়ান হতে গেলে অন্যরা কী বলছে সেটা শুনতে হবে।
সংসদে থাকতে হবে। সংসদের নৈতিকতা-রীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।