আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চমেক কর্মচারীদের কাছে জিম্মি রোগীর স্বাসú

নির্মাণশ্রমিক রুবেল ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হলে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক)। জরুরি বিভাগ থেকে তাকে স্থানান্তর করা হয় অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে। তার স্বজন ফয়সাল বলেন, জরুরি বিভাগ থেকে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে নিতে ওয়ার্ডবয় নেন ১০০ টাকা। এ ওয়ার্ড থেকে তৃতীয় তলার সিটিস্ক্যান করানোর জন্য নিতে ১০০ টাকা দিতে হয়। পরে সার্জারি বিভাগ থেকে অর্থোপেডিক বিভাগে নিতে দিতে হয় ১০০ টাকা। ওয়ার্ডে রোগীকে প্রস্রাবের ব্যাগ লাগাতে ৩০০ টাকা নেয়। এভাবে সরকারি হাসপাতালে প্রতিটি পদে পদে টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রায় সবার কাছ থেকেই একই রকম তথ্য পাওয়া যায়। অসাধু কর্মচারীদের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ হবে আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের বিরোধিতা করছে চক্রটি দাবি সংশ্লিষ্টদের।বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১১ জেলার প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জটিল রোগের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা চট্টগ্রাম মেডিকেল। বর্তমানে মেডিকেলে চতুর্থ শ্রেণীর ৬৩০ ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী আছে ১৪৮ জন। তাছাড়া ঠিকাদারের নিয়োগ করা ওয়ার্ডবয় ও আয়া আছে শতাধিক। তিন স্তরের এই ৮ শতাধিক কর্মচারীর হাতেই জিম্মি বৃহত্তর চট্টগ্রামের আড়াই কোটির বেশি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা। কিন্তু হাসপাতালের এই কর্মচারীরাই 'সংগ্রাম পরিষদের' ব্যানারে গত তিন দিন ধরে চালাচ্ছেন চমেককে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরবিরোধী আন্দোলন। কর্মচারী ব্যানার ব্যবহার করলেও অনেকে এর সঙ্গে যুক্ত নন বলেও দাবি করেছেন। ২০০ কর্মচারী জড়িত বলে দাবি অনেকের। গত সোমবার হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান ধর্মঘটে এর বেশি সংখ্যক দেখা যায়নি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.