আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
বাংলাদেশের অর্থনীতি যখন আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সে সময়ে অর্থনীতির জন্য দুঃসংবাদ হিসাবে দেখা দিয়েছে জঙ্গীবাদের হুমকি। ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল এলাকায় প্রিজন ভ্যান থেকে তিনজন জঙ্গীর পলায়ন আসলে প্রমাণ করে কিভাবে জঙ্গীরা ভেতরে ভেতরে গেড়ে বসেছে। তিনজনের মধ্যে হাফেজ মাহমুদ নামের একজন জঙ্গী ক্রসফায়ারে মারা গেছেন। দৈনিক ইত্তেফাকের ২৬ ফেব্রুয়ারির রিপোর্ট থেকে দেখা যায় ছিনতাই কাজে ব্যবহূত মাইক্রোবাস চালক জাকারিয়ার স্ত্রী স্বপ্না বেগমও একজন সক্রিয় জঙ্গী।
শীর্ষ ছয়জন জঙ্গীর ফাঁসি হওয়ার পর জেএমবির সদস্যরা দুর্বল হতে শুরু করলেও আবার তারা পুনর্গঠিত হতে শুরু করেছে। দেশে যারা জঙ্গীর তেমন প্রভাব নেই বলে মনে করতেন, আজ তারা অনেকখানি শংকিত। এদিকে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসাবে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের "আই এইচ এস জেনস ২০১৩ গ্লোবাল টেররেজিম এ্যান্ড ইমারজেন্সি এট্যাক ইনডেক্স"-এর তালিকায় সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম তৃতীয় স্থানে এসেছে— যা দেশের অশনি সংকেত স্বরূপ। ইসলামী ছাত্রশিবিরের অবস্থান দেখা যাচ্ছে তালেবান গোষ্ঠীর পর। জঙ্গীবাদী তত্পরতা, সন্ত্রাসী তত্পরতা যে নামেই ডাকা হোক এটি বাংলাদেশের জন্যে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করছে।
আসলে একবিংশ শতকের শুরু থেকে মূলত এই ধরনের জঙ্গীবাদী গোষ্ঠী তত্পর হতে শুরু করে। একের পর এক বিভিন্ন অপকর্ম করে। দেশে বেশ কিছু জঙ্গীর বিচারও হয়েছে, শাস্তিও পেয়েছে। কিন্তু যে বিষয়টি এখনও সাধারণ জনমানুষের কাছে অজানা থেকে গেছে তা হলো, হঠাত্ করে এদেশে জঙ্গী তত্পরতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড একাদশ শতকের প্রথমার্ধে বেড়ে গেলো কেন?
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতার পালাবদল হলে জঙ্গীবাদী তত্পরতা ছিল না বললেই চলে। বাংলাদেশের ইমেজও দেশে-বিদেশে বাড়তে থাকে এবং রাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশও সুবিধা করতে সক্ষম হয়।
তবে ২০১৩ সালে এসে একের পর এক যে ধরনের হিংস্র কর্মসূচি পালন করা হয়, নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে দগ্ধ করা হয়, নির্বিচারে বৃক্ষ বিধন করা হয়। বোবা প্রাণী থেকে আরম্ভ করে মালবাহী ট্রাক জ্বালিয়ে দেয়া হয়— তা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়াস ছিল।
আসলে জঙ্গীবাদী ও সন্ত্রাসী তত্পরতার সাথে অর্থনৈতিক লেনদেনের একটি বিষয় থেকে যায়। এই লেনদেনের ফলে যারা গডফাদার তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হন। অথচ যারা কেরিয়ার হিসাবে কাজ করেন কিংবা বিভিন্নভাবে ব্রেইন ওয়াশ করার ফলে নানা ধরনের অপ-তত্পরতা এবং আত্মঘাতী হামলায় জড়িয়ে পড়েন তারা সাধারণত ধরা পড়লেও অনুতপ্ত হোন না।
এমনকি নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে পিছপা হোন না। এই সুযোগটি নানা দেশে সুযোগসন্ধানীরা কাজে লাগিয়ে থাকে। বাংলাদেশে দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে সুযোগসন্ধানীরা সাধারণ জনমানুষকে বিভ্রান্ত করে। এই বিভ্রান্ত করার ফলে কোমলমতি বড়লোকের ছেলে-মেয়েরাও যেমন বিপথগামী হয়ে পড়ে তেমনি সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তর ছেলে-মেয়েরাও বিপথগামী হয়। খানিকটা তারুণ্যের এ্যাডভেঞ্চারের নেশা আবার কেউ কেউ বর্তমান সময়ের অস্থিতিশীল পরিবেশ ও দুর্নীতিপরায়ণ পরিবেশের শিকার হয়ে তারা অনেক সময়ে জঙ্গীবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ঝুঁকে পড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (নভেম্বর, ২০১৩)-তে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট অনুসারে এনজিওগুলো এবং নন-প্রফিট অর্গানাইজেশনকে মানি লন্ডারিং এবং টেরোরিস্ট ফাইন্যান্সিং-এর প্রতিরোধকল্পে রিপোর্ট করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, দেখা গেছে অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাপী টেরোরিস্টের কাজের জন্যে অর্থায়ন করে এবং ঐ অর্থ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করে এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়, টেরোরিস্ট সংগ্রহে উত্সাহিত করে অথবা টেরোরিস্ট কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অনুঘটক হিসাবে বিস্তৃতি ঘটাতে সহায়তা করে থাকে। বাংলাদেশে গতবছর ও চলতি বছরের প্রথমার্ধে যে ধরনের সহিংসতা হয়েছে তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য জানমালের নিরাপত্তা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেসমূহ ক্ষতি সাধিত হয়েছিল। তবে জানুয়ারির প্রথমার্ধের পর থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জঙ্গীবাদী তত্পরতার ফলে দেশের যে ক্ষতি সাধিত হয়েছিল, তা দেশের জন্যে দারুণ হুমকির সঞ্চার করেছিল।
আসলে মধ্যব্যবসায়ীরা অত্যন্ত তত্পর। গ্রামে-গঞ্জে মিথ্যে রটনা দ্বারা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে ফেলতে চেয়েছিল। মিথ্যে রটনা এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে, চাঁদে সাইদীর ছবি দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিল। দেশের বেশ কিছু এলাকায় জঙ্গীবাদী তত্পরতার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকিং খাতকে যাতে জঙ্গীরা নির্বিঘ্নে লেনদেন না করতে পারে সেজন্যে আরো সতর্ক ভূমিকা পালন করতে হবে।
অন্যদিকে কুরিয়ার সার্ভিস, বিকাশসহ সহজ পন্থায় দেশের অভ্যন্তরে যে সমস্ত অর্থ লেনদেন পদ্ধতি রয়েছে এমনকি ডাক বিভাগের মাধ্যমে দ্রুত ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার হয় সে সমস্ত ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশে ব্যাংকের কঠোর নীতিমালা আছে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকারদের।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন-পরবর্তী যেভাবে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করছে তা দুঃখজনক। সম্প্রতি ময়মনসিংহে ঘটে যাওয়া জঙ্গীদের যে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তা প্রমাণ করে যে দেশে জঙ্গীরা এখনো সক্রিয়।
তারা দীর্ঘ নয়মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়ে তিনজন দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গীর ছিনতাই-এর ঘটনায় প্রমাণ করে যে, জঙ্গীরা অত্যন্ত সংঘবদ্ধ।
সম্প্রতি আল-কায়েদা প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরি ইসলাম রক্ষার নামে বাংলাদেশে মুসলমানদের জিহাদে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এটি অত্যন্ত গর্হিত হয়েছে। সরকার ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়ে এটি ইউটিউবে যে আপলোড করেছে তাকে ধরেছেন। কিন্তু এই ধরনের ভিডিও বার্তা প্রমাণ করে যে, আল-কায়েদা বাংলাদেশের দিকে শকুনের দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে।
তারা পাকিস্তানের পর বাংলাদেশকে টার্গেট করতে চাচ্ছে। পাকিস্তান হচ্ছে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রের সাথে তুলনা করা ঠিক নয়। জন্মগত বাঙালিদের স্বভাব, আচার-আচরণ ভিন্ন। বাঙালিরা ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়।
বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বাইরের রাষ্ট্র যেমন মেনে নিতে পারেনি তেমনি দেশের মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক লোক দেশের অন্তর্কলহে বিদ্যমান এই পরিবেশ থেকে উত্তরণ ঘটা উচিত। এজন্যে শক্তিশালীভাবে সাধারণ জনগণকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পরিচালিত করে তাদের আয় প্রবাহ বৃদ্ধি এবং সুষম বন্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নচেত্ অনেকে যারা আয় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার লোভের আশায় পড়ে ভ্রান্ত পথের দিকে পাড়ি জমাতে পারে।
বাংলাদেশে অস্থিতিশীল প্রক্রিয়া সৃষ্টির পেছনে কলকাঠি নেড়ে থাকে যারা স্বাধীন বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার রিপোর্টে দেখা যায়, আইএসআই জঙ্গীবাদী ঘটনার বিস্তৃতির ক্ষেত্রে অনেক সময়ে রসদ যোগানোর চেষ্টা করে থাকে।
একটি স্বাধীন দেশে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস দেখায় যা দুঃখজনক। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশির সূত্রে জানা যায়, ইস্ট লন্ডন জামে মসজিদে অনেক সময়ে এমনভাবে চাঁদা তোলা হয় যা এক রাতেই প্রায় এক মিলিয়ন পাউন্ডের মত হয়ে পড়ে। এই বিপুল অংকের একটি অংশ দাতব্যের মাধ্যমে এদেশে আসে কিনা এবং এলে কারা বেনিফিসিয়ারী হয় তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বেশ কিছু এনজিও অনেক ক্ষেত্রে দেশের দুঃস্থ মানুষের মধ্যে মিথ্যে প্রলোভন ও আশ্বাস দিয়ে জঙ্গীবাদী কর্মকাণ্ডকে প্রবাহিত করে থাকে। এসমস্ত এনজিওর বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।
অন্যের ধর্ম বিশ্বাসের উপর আঘাত হানা সত্যিকার অর্থে দুঃখজনক। ধর্ম ব্যবসায়ী আর ধর্মের প্রকৃত অনুসারী হলো আকাশ-পাতাল তফাত্। প্রকৃত ধর্মের অনুসারীরা মানুষের মঙ্গল কামনা করে থাকেন। অথচ ধর্ম ব্যবসায়ীরা যেভাবে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেন, তা দুঃখজনক। তাদের এ ধরনের আচরণ একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে থাকে।
যেভাবে গত বছর রেলের ইঞ্জিন থেকে আরম্ভ করে রেলের বগি পুড়িয়ে ফেলা, রেল লাইন তুলে ফেলা, কালভার্ট ভাংচুর করা, ফিশ প্লেট খুলে ফেলার মত যে সমস্ত অরাজকতার সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা এদেশে রেল ব্যবস্থাপনার ধ্বংসলীলার প্রয়াস বললে অত্যুক্তি হবে না। এ ধরনের অপ-তত্পরতা সাধারণ অপরাধের মাত্রা ছাড়িয়ে জঙ্গীবাদী তত্পরতার আদলে সংঘটিত হয়েছে? এটি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে পশ্চাত্পদতার দিকে ঠেলে দেয়ার প্রয়াস ছিল। এই ধরনের তত্পরতা বাংলাদেশের ন্যায় অগ্রসরমান দেশের জন্যে অশনি সংকেতস্বরূপ।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের অনেক ছাত্র-ছাত্রী দারিদ্র্যের কারণে ভুল পথে পাড়ি দেয়। সামাজিক কল্যাণের জন্যে উচিত যারা প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি করে থাকে, তারা ঐ সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর জন্যে সহায়তার ব্যবস্থা করা।
এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে বলা চলে আর্থিকভাবে যদি অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে টিউশনিসহ পার্টটাইম জবের ব্যবস্থা করা যায় তবে বিভ্রান্তির কবলে পড়বে না।
এদিকে দেশ থেকে প্রবাসে যারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্যে যায় তাদের মধ্যে যারা "ব্লু কলার" ক্রমিক হিসাবে বিদেশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার পাশাপাশি অনেক ওহাবী চিন্তা-ভাবনার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। এই ধরনের ব্রেইনওয়াশ আবার প্রভাবিত করে তাদের পরিবার-পরিজনকে। ফলে কেউ কেউ ভুল পথে পরিচালিত হয়। ইমিডিয়েট পাস্ট সরকার বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিকমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থা গঠনের জন্যে শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছেন।
এদেশে মাদ্রাসাগুলোতে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থার সুষ্ঠু প্রয়োগ এবং স্বাভাবিক কর্মজীবনে প্রবেশের ব্যবস্থা যাতে প্রতিপালিত হয় সেটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে। অন্যদিকে উচ্চবিত্তের সন্তান এবং মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে ভুল পথে পরিচালিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা দকার। হুজি তত্পরতা, জেএমবিসহ যারা দেশে অপপ্রচার বিভিন্ন নামের সংগঠনের মাধ্যমে পরিবেশন করছে তাদের গডফাদারদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত।
জঙ্গীবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড একে অন্যের পরিপূরক। এদেশকে এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই জঙ্গীবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতি "শূন্য" টলারেন্স দেখাতে হবে।
এটি কেবল সরকারের একার দায়িত্ব নয়। জঙ্গীবাদী ঘটনার বিস্তৃতির সাথে "Clashes Of Civilization" তত্ত্বের মিল রয়েছে। এতে সারা দেশে অগ্রসরমান মানুষ, তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, মুসলমান, হিন্দু, খৃষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মের যথাক্রমে মৌলভী, পুরোহিত, পাদ্রী এবং ভান্তেদের অধিকহারে ধর্মের যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে হবে। পর্দার মানে শালীনতা। আর এটি পুরুষ-নারী উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বাংলাদেশে যেন জঙ্গীবাদ ঘাঁটি গেড়ে বসতে না পারে সেজন্যে অর্থনীতিতে নারী-পুরুষের সমান কর্মব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশ হয়ে উঠুক মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য আর্থিক মুক্তি, সম্পদের সুষম বন্টন ব্যবস্থা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
সুত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।