যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
পাকিস্থান এর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্থান সরকারের থেকে ও বেশি আতংকে আছে আমেরিকান সরকার । গত ক'দিন ধরে প্রচার মাধ্যম তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর নানা মন্তব্যই তা প্রকাশ পাচ্ছে । তিনি বর্তমান পাকিস্থান সরকার এমনকি সেদেশের সুশীল সমাজকে দ্রুত পদক্ষেপ নেবার আহবান জানিয়েছেন ।
কিন্তু বস্তুত পাকিস্থানে হচ্ছে কি ??
প্রচার মাধ্যম গুলো দাবি করেছে যে তালেবানী জঙ্গীরা রাজধানী থেকে মাত্র ১০০ কিমি দূরে অবস্থান করছে , তারা যে কোন মুহুর্তে হামলা করতে পারে । কিন্তু পারমানবিক বোমার অধিকারী দাম্ভিক পাকিস্থানী সেনাবাহিনী কি এতোটাই অসহায় জঙ্গীদের কাছে ?? নাকি তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ??
বিগত সময়গুলোতে দেখা যায় পাকিস্থানের রাজনৈতিক হালচাল কোন অবস্থাতেই সুবিধার ছিল না । সেদেশের স্বাধীনতার পর বেশিরভাগ সময়ই তারা সামরিক বাহিনীর শাসনকাল অতিবাহিত করেছে । সেই সামরিক বাহিনী স্রেফ মার্কিন সরকারের তল্পিবাহক ছাড়া আর কিছু কি করছে?? সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায় !! যখন স্বয়ং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন আজকের এই জঙ্গীরা তাদের হাতেই সৃষ্টি । আমেরিকা আর পাকিস্থানীদের যৌথ সহযোগিতায় তৈরী হয় মুজাহিদীন, আর এশিয়া সহ সারা বিশ্বের মুসলিম জঙ্গিদের উত্থানের সূচনা তো সেখান থেকেই ।
যখন সোভিয়াত রাশিয়াকে পর্যাদুস্ত করার প্রয়োজন ছিল তখন মার্কিনীরা পাকিস্থানীদের সহায়তা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল অস্ত্র আর আজ সেই অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই ।
আজ যখন পাকিস্থান সরকার সামগ্রিক অবস্থায় দিশেহারা তখন ও মার্কিন সরকার চায় পাকিস্থান সরকার জঙ্গীদের কঠোর হস্তে দমন করুক । কিন্তু সারা দেশের জঙ্গীবাদ দমন করতে করতে সে দেশের সরকার যে নিজেই আজ বিপর্যস্ত । গত কয়েক দশকে পাকিস্থান বিশ্বে নিজেদের স্রেফ একটি বিপর্যস্ত দেশ হিসেবেই তুলে ধরতে পেরেছে , তার বেশি কিছু কি তাদের অর্জন আছে ?? পাকিস্থানের আজকের এই দুর্দশার কারণ তাদের উচ্চাভিলাষী সামরিক বাহিনী ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।