জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেদখল আবাসিক হল উদ্ধারে অনড় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। তারা নতুন হল নির্মাণেরও দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। অন্যদিকে, পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি হারুনুর রশীদ ও কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামানের অপসারণসহ আট দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি। হল উদ্ধার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি।
ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই আলাদা বিক্ষোভ মিছিল বের করে কয়েকটি বিভাগ। বেলা ১২টার দিকে ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আট দফা দাবি আদায়ে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করা হয়। শিক্ষকরা বলেন, 'দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।'
উপাচার্যের সভাকক্ষে বৈঠকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ সভাপতিত্ব করেন। এতে পুলিশের দখলে থাকা আবদুর রহমান হলসহ তিনটি হল প্রাথমিকভাবে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালানো এবং জায়গা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা নিরসনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। কাজী ফিরোজ রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা কাজ শুরু করেছি। একদিনে সবকিছু করা সম্ভব নয়।' এই কমিটি দিয়ে হল উদ্ধারে ফলপ্রসূ কিছু হবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'ফল পাওয়া যাবে কিনা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।' তবে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও জবি ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, 'সরকারের সদিচ্ছা থাকলে হলগুলো শীঘ্রই উদ্ধার করা সম্ভব। দখলদাররা প্রভাবশালী, তাই তাদের সঙ্গে সরকারের কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে। হল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।' সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামও বলেন, 'আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।' বৈঠকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) কাজী সালাহ্উদ্দিন আকবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ), ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস, সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল বালা, ঢাকা জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান প্রমুখ অংশ নেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।