চারটি টিলা মিশেছে এক জায়গায়। কিন্তু এগুলোর ঠিক সংযোগস্থলেই চলছে মাটি কাটা। ১৫-২০ জন নারী-পুরুষ শ্রমিক কাটছেন টিলা। মাটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে। কেটে টিলাগুলোকে এমন আকার দেওয়া হয়েছে, দূর থেকে মনে হয় পানিশূন্য হ্রদ। সিলেট নগরীর উপকণ্ঠে খাদিমপাড়া ইউনিয়নের দলইপাড়ায় গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টিলাটি কাটাচ্ছেন খাদিমপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মখলিছুর রহমান। তারা আরও জানান, প্রায় এক মাস ধরে টিলা কাটা চলছে। দিনের বেলায়ই মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। মাছের খামার করার জন্য মখলিছুর রহমান এটি কাটছেন। ঠিকাদার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন এনাম নামে এক ব্যক্তি। তিনিই সবকিছু তত্ত্বাবধান করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা দলইপাড়া। মূল সড়ক থেকে অনেক ভেতরে এ চারটি টিলা। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে থেমে যায় শ্রমিকের কোদালের কোপ। পালানোর চেষ্টাও করেন কয়েকজন। তবে বিকল্প সড়ক না থাকায় মাটি পরিবহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে গিয়ে তারা লুকানোর চেষ্টা করেন। শ্রমিকরা জানান, পুকুর তৈরির জন্য মালিক মখলিছুর রহমান টিলার মাটি কাটাচ্ছেন। মাটির ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করলে ঠিকাদার এনাম বলেন, প্রতি ট্রাক ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাটি বিক্রির জন্য পুলিশের সঙ্গেও বোঝাপড়া রয়েছে। পরে মোবাইল ফোনে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বললে তিনি টিলা কাটা ও মাটি বিক্রির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেন। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মখলিছুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টিলা নয়, টিলার পাদদেশের সমতল ভূমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি কেটে তিনি টিলার মাঝখানে মাছের খামার ও হ্রদ (লেক) তৈরি করবেন। নিজেকে পরিবেশ হিতৈষী দাবি করেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।