তুমি আমার প্রেম, সুখের উত্স প্রাণবন্ততা তুমি আমার প্রেমেরআত্মা, তুমি আমার ভালোবাসা, আশা তুমি কাম্য আমার আনন্দের আত্মা৷ তুমি আমার আল্পনা, কল্পনা জল্পনা তুমি ছন্দ আমার কবিতার আত্মা, তুমি আমার কাব্যভূবন, প্রিয়তমা তুমি আমার সৃজনশিলতার আত্মা৷ ১ কেন এসেছিলে তুমি আমার দোয়ারে? রিক্ত হাতে, বসন সিক্ত ছিল নয়ন বেয়ে অশ্রু ঝরছিল অঝরধারে| অসংশয়চিত্তে বসা ছিলাম আমি দেখেছিলাম বিমনা ছিলে তুমি, কেন এসেছিলে জানিতে পারিনি বলে ব্যথার সুর বাজে হৃদকন্দরে| উদাস নয়নে তাকিয়েছিলে, কাতর সেই চাহনিতে মিনতি ছিল, আকুলতা তোমার মর্মব্যথা বুঝিতে পারিনি আমি ছিলাম একলসেঁড়ে| ২ পাশে বসে মনের কথা বলগো বধূয়া| শুনিব আমি বোঝিব ব্যথা জমা যত তোমার অন্তরায়, বল আমায় বলগো বধূয়া| নন্দি গীতি গায়িবে কোকিলা এজহার বয়েত বলিবে মদিয়া তা শুনে জানি কাঁদিবে তুমি বিরহ ব্যথার কথা বলিয়া আমার বুকে বুক রাখিয়া| এও জানি ডেকে মোরে মরমিয়া আধার গৃহ তব করিবারে উজালা চরন যোগল বাঁধিবে আমার শিরোজ আচলে মাথার দিব্যি দিয়া| জৈষ্টের দুপুরে অলস গায়ে কান্ত মনে ফিরিলে গৃহে কর্ম শেষে আরামে শোয়িবারে শীতল পাঠি দেবে বিচায়িয়া| ৩ রুদের ঝলক অম্লান হয়, হাসি তোমার রূপের কিরণে, ও সজনী, মন কান্দে তোমার লাগিগো আমি বিবাগী| মহানিশার নিশা কাটিলে জেলার আগুন জ্বলে উপবনে চৌপাশে লীলাময়ী চাই তোমায় না পেলে হব বৈরগী| প্রেম খেলায় জিতিতে চাই বাসররাতে কড়িখেলার দানে ঘুমহীন নয়নে তুমি শুধু তুমি নিশাচর আমি অনুরাগী| ৪ সন্ধ্যা সাঁজে হৃদয় মাঝে বাজে ব্যথার ক্রন্দন সুর বাজে| এজহার সুরে, বিরহে মন মোর বধূয়ার অঙ্গভঙ্গি হেরে প্রেমে মজে, সন্ধ্যা সাজে| পাগল বেশে ভিনদেশি ভেবে দূর বিরহী আমায় আপন মনে ভাবে বধূ, মন্দ লোক আমি হয়তো প্রতারক অবাক আমার চাহনি দেখে পলি গায়েরে অবলা বধূ মরমে মরে লাজে| চাতকি ওর চাহনি, হাতের কাকন ঝঙ্কে মন বসেনা কাজে চঞ্চল চলার ভঙ্গি দেখে পুলক জাগে আমার বুকের মাঝে সন্ধ্যা সাঁজে| ৫ হে, কেগো ছিলে তুমি মোর স্মৃতি সরণীতে? ণ সতত, পলে পলে ডাকিতে কাছে, সূচী ভেদে স্বপনচারিতে| হে, কেগো ছিলে তুমি মোর হৃদয় মন্দিরেতে? আমার অজান্তে প্রেমো সাঁজ ণে নয়ন জলে আশা ধূপে দীপ জ্বালাতে সন্ধ্যাবাতির ছলে আমার তরে, আশার আশাতে| হে অচেনা কালিনী, কে ছিলে তুমি? মর্মে জ্বালা বোঝ লয়িতে ডারিতে দিশা হারায়ে প্রেমের পথে পদচারে এসেছিলে আমার জীবনেতে? হে, কেগো ছিলে তুমি মোর স্মৃতি সরণীতে? ৬ মন চায় মন্দির গড়ে মোর জীবন গৃহ ভূবনে তোমায় প্রতিমা রূপে বসিয়ে রাখি হৃদয় মাঝারে দেবির আসনে| কিন্তু পারিনা আমি এ জগৎ বেঁধে রাখে আমায় পাষাণ বাঁধনে, লোহার ভেড়ি পরিয়েছে আমর যুগল চরণে| এহেনে তবুও অন্তরনে বন্ধি রহে এলিজে কাঁদি আমি তোমারই স্মরণে| ৭ স্মরণ স্মরণীতে তব সাথে কথা বলিতে হৃদয় উড়ে যায় ব্যথা জড়িত অতীতে, তব সাথে| মন কথা বলে, এজহার গাথা রচে বসে ব্যথার রথে, তব সাথে| হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন ভাসে নেত্রে তাপিত মৌণ্য ণ হরষ বাহারের সততে ক্ষুন্ন হতাম দুজনে প্রেমানন্দ মিলনের শিহরনে হারাতাম দুজন দুজনাতে, তব সাথে| ৮ আমার স্বরুপে তোমার এই মনোহর রুপ দোহা রচিতে গীত রচনার দীপ রজনে| সখি হে অপরূপ মম পাসরিব কেমনে? ওগো আমার প্রীতির প্রতিমা তোমার মনোহর রুপ মোর এজহার আরতির ধুপ স্মৃতি চারণে, সখিহে এ রুপ আমি পাসরিব কেমনে? তোমার রুপে প্রভু আমার সবি আমি ছায়া কায়া, স্পন্দন তুমি আমার প্রাণে| সখি হে এ রুপ আমি পাসরিব কেমনে? ৯ আমি জানিতাম সেই দেখা শেষ দেখা ছিল| আমি জানিতাম সেই দিনের বিদায় শেষ বিদায় জনমের তরে তিলাঞ্জলি ছিল| সে দিন ফিরে না আসিবে কভু সে পল, তবু ও জেনে বুঝে, মেনে মনে আমি বলেছিলাম দেখা হবে, কিন্তু হলনা দেখা আর সেই দেখা সে দিনের বিদায় শেষ বিদায় মোদের তরে তিলাঞ্জলি হল| ১০ তিলোত্তমা তুমি হে দয়িতা আমার শোকের গাথা, পিয়ারি, প্রাণেশ্বরী, যদিও হারিয়ে’ছো তুমি চিরতরে তবুও নয়নজলে লেখব তব নাম, মোর হৃদয় গগনে রাখিব এঁকে জীবন খাতার দুভ্র পৃষ্টবক্ষে| মরনা’সা পর্যন্ত শোকের দোহা রচিব ভাঙ্গা তানকুড়ার তারে তারে হৃদয়বীণায় সুর ঝংকারে বিরহ লিরিকে| চোখের শিষে জ্বালাব দীপ তমা’লয়ে, বাঁশির ধূনে নিলাম্ভর কাঁপাব ধ্যানে, চমকিত নয়না, থমকিত পরির ডানা কেড়ে জড়ায়ে গায়ে উড়িব দিবশ নিশী, ব্যথার সুরে শোক গীত গেয়ে, বেদনার সূঁচি ঢাকা অন্তরীক্ষে। ১১ তিলাঞ্জলি বলতে যেয়ে অশ্র“তে দিয়ে ডারি পূর্ণ হস্থাঞ্জলি জানালাম হৃদিতির চিত্ত মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি| গেয়ে এক আনমনে এজহার বিচ্ছেদের গীত সম বিরহ’নের অঞ্জলি| তবুও নয়নে রেখে নয়ন বলিতে পারিনি তিলাঞ্জলি| ১২ মিলন হে বধূ তোমাতে যত বিরহ শোক আমাতে| সুখের দিবশ তোমার হাসিতে, অশ্র“বন্যা আখিতে আমার প্রতি সততে বিচ্ছেদেরাধার নেমেছে আশা স্বপ্নের’জনিতে, মোর স্মৃতির বাসর তোমার স্মরণ ধ্যানেতে| বিস্মৃতি, বিচ্ছেদের দহ যন্ত্রনা, চাঁপাকান্না হুঁতাশার কালো ছায়া আমার শয়ন মন্দির ঢাকা তমতে| আনন্দ পুলক সব তোমার জীবনেতে| হাস্য হরষের আভা রেখা আমার তরে নেই ধরাতে স্বর্গ সুখের বিনোদনে মিলন হে বধূ তোমাতে যত বিরহ শোক আমাতে| ১৩ ধ্যানে মম পেয়েছি যে শ্রী, এ মোর শত শ্রমের, পরম ধন জানি| পূর্ণ যৌবনের আরাধনা, জীবনের বাসনা যত সবই উৎসর্গে পেয়েছি এ রতন হাজারো সাধনা বযনা প্রান্তে প্রেমের পূঁজা দিয়ে বিরহে পুষ্পাঞ্জলি অন্তে প্রতিভা সওগাতের ডারি পেয়েছি ধ্যানে মোর এসেছে শ্রী| ১৪ যে ছিল মোর ধ্যানেশ্রী সে এক অবলা কালিনী হৃদয়ে আরশি ওর নয়নে ভরা হৃদীনি| নয়নে প্রেমবাণ হাতে বরনডালি, আপনার তরে ব্যথার ঝুলি| পূঁজারিনী, বিরহিণী, ধন্য সে মহান প্রেমোরাধিনী| মরুদ্যানের পাপিয়া সম মিলনা’শে পিপাসিনী, সে মোর ধ্যানেশ্রী| ১৫ প্রেমকে আমি শ্রদ্ধা করি, কারণ, প্রেম থেকে আমার এই জীবনের অনুগতী| মরিক আমি প্রেমেরই ছলে রেখে যাব নব প্রজম্মের তরে প্রীতির স্মৃতি| ১৬ সে কোথায় মম জানিনা? মানি শুধু অন্তরের পাশে বিরাজিত, কিন্তু পয়না হেরিতে তারে নয়না| সে কি তবে সম দিবাকাশের চন্দ্রিমা? এই উদ্ভাবনের ভেদ পন্থা মম জানিনা| কেমনে ঠাহরি তারে পুষ্প’লবে হেঠে পর্ণমোচনে তলাশ করিব যেয়ে কোথায়, ঠিকানা যে তার মম জানিনা| হা হুতাশে দিন কাটে রজনি, অচেতন হয়েছে মন সহে যন্ত্রনা| কেমনে আছি মম বেঁচে না মরে মর্ম ব্যথার বারতা সেত নিলনা| বাতাসে শুনেও মোর এজহার গাথা পর্ণমোচনের পাতা ফুলে সাজা বাসরে সেত আজও এলনা, শুধু জানি, স্মৃতিচারে অন্তিকেও সমান্তরাল দুজনা| জেনে তা স্মরণে ভাব জগতে মিলিতে চাই আমি কিন্তু সে কোথায় মম জানিনা| ১৭ প্রেম হারিয়ে প্রেমিক কাঁদে, প্রেম হাসে অম্লান হাসি আকাশে| বিচ্ছেদ বিরহের যন্ত্রণায় গুমরে সখি, শশী হসে| প্রিয় বিরহের কান্নায় ঝরা সখির নয়ন জল টল মল ব পলাশে| ১৮ যাক যা হবার হয়েছে, গিয়েছে ভেসে যবে তরী অভিমানের হালও যাক ভেসে মন দাড়ী যখন মান ভুলেছে| আকাশে বুঝি তাই মেঘ রানী কালো আচল গুটিয়েছে, নব লগ্ন এসেছে দেখে বসন্ত বুঝি ফিরেছে? অতীত বর্তমানের ছায়া’ড়ে গাঁ যখন ঢেকেছে পলবের বিপবে হরষি পলিবির শাখা প্রাণবন্তে বসন্তি মধু মাধবির রাগে সোহিনী বায়ে বিলায়িতেছে ছলে এত যবে নৈর্সগে তবে ভুলের পালা ভুলা যাক না যা হবার হয়েছে| ১৯ আলকুশিতে কাঁটা আছে বলেইতো জাছমিনে সুবাস রয়েছে| কলি ফুটে বলে বাগে অলি মধুপায়ি ফিরে আসে বারে বারে, কাঁটাতে আঘাত পেয়েও দেখো চেয়ে কোয়েল বায়ে ডানা মেলেছে| পথিক যেমন পথ হারিয়ে সাগর সৈকত বালোচরে ঘর বাঁধে স্বপ্ন আঁকে আশার কাঁচে| চাতক পাপিয়া তেমন চ’মাসান্তে তৃষ্ণায় নেমে এসে মরিচিকায় কালে কালে প্রাণ হারিয়েছে| ২০ বিদায় হে বন্ধু বলনা বিদায়| পথের দেখা পথের শেষে অন্ত হয়েছে সহযাত্রা পথের রেখা এসেছে ফুরায়| পথের সাথী হে বিরহী দেখ নতুন পথ ডাকে তোমায়| পথিক হে আস ফিরে গন্তভ্য পথের রেখায় অভিসারের বন্ধু তোমার হাত বারিয়ে ডাকে আয়| এই অচেনা পথের বাঁকে একেলা রেখে আমায় যেওনা বন্ধু সঙ্গ ছেড়ে এই অবেলায়, বন্ধু হে বলনা বিদায়| ২১ আমারন পুষ্প’লবে মিত্রতা রেখে পর্ণমোচনে রুদিব আর কত? নয়ন জল ন্বিঃশেষ হয়ে’ছে অন্তর ঝিম ধরেছে জীর্ণ হেরে বৃক্ষ শত| মর্মে বোঝে আলত উপলব্ধি করিতে চাইছি বসে বন গহিন নির্জন নিরালাতে, এজহার গেয়ে ব্যথাতুর চিতে মালীর মন জীবনে দুঃখ|
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।