পুলিশের আধুনিকায়ন সময়ের দাবি। এ দাবি পূরণে সরকারের অঙ্গীকারও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন পর্যায়ে শম্ভুক গতির কারণে আধুনিকায়নের কোনো সুফল অনুভূত হচ্ছে না। অপরাধ দমনে পুলিশের কার্যক্ষমতা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। একই সীমাবদ্ধতার কারণে জনগণের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ দেশে পুলিশ বাহিনী গঠিত হয়েছিল সেই ব্রিটিশ আমলে। ঔপনিবেশিক শাসন টিকিয়ে রাখতে গড়ে তোলা হয়েছিল পুলিশ বাহিনী। পাকিস্তানি শাসনামলেও পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল অভিন্ন। স্বাধীন বাংলাদেশে পুলিশের চেহারার আমূল পরিবর্তন প্রত্যাশা করা হলেও এ জন্য যে সংস্কারের প্রয়োজন সে উদ্যোগ কখনোই যথাযথভাবে নেওয়া হয়নি। সময়ের প্রয়োজনে পুলিশের কাজের পরিধি বেড়েছে। পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে পাল্লা দিতে গঠিত হয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট। কিন্তু এসব ইউনিটের কার্যক্রম অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ। আড়াই বছর আগে স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গঠন করা হলেও তার কাজ এখনো পর্যন্ত শুরু করা যায়নি। শিল্প পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশের অবস্থাও তথৈবৈচ। অপরাধ তদন্ত ও জনসেবার ক্ষেত্রে পুলিশের দক্ষতা প্রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো সক্রিয় করা যাচ্ছে না। তাদের অবস্থা দাঁড়িয়েছে ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের মতো। পুলিশের আধুনিকায়নে সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্বতন্ত্র পুলিশ বিভাগ গড়ে তোলা। এর ফলে পুলিশকে তাদের সমস্যার জন্য অন্য বিভাগের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। পুলিশ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিরও উদ্যোগ নিতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।