গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের কোনো জলাশয় ভরাট করার পরিকল্পনা নেই সরকারের। শেখ হাসিনার নির্দেশ, কোনো জলাশয় যেন ভরাট না হয়। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জলাশয় ভরাট, নগরায়ন ও সুশাসন নিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় গতকাল মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আলোচনায় মোশারফ হোসেন বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার জলাশয়গুলো ভরাট বন্ধের আইন করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন বিএনপি সরকার গুলশান লেক ভরাট করে প্লট তৈরি করে তৎকালীন মন্ত্রী-এমপিদের বরাদ্দ দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি গুলশান লেক ভরাট বন্ধ করেছি। বুড়িগঙ্গা যেভাবে দূষিত ও ভরাট হয়েছে, তা ফের অবৈধ দখলমুক্ত করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে আওয়ামী সরকার।'
আলোচনা সভায় পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, অতীতের তুলনায় বাংলাদেশের বাজেটের পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু উন্নয়ন বাজেট বাড়েনি। সে ক্ষেত্রে পরিবেশের উন্নয়ন একটি বড় বাধা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, 'আমাদের পরিবেশ বাঁচাতে হলে পরিবেশবিদ ও অর্থনীতিবিদদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ পরিবেশ বাঁচলে অর্থনীতি বাঁচবে। একটি জলাশয় বাঁচার সঙ্গে অর্থনীতির সম্পর্ক রয়েছে।'
অ্যাসোসিয়েশন অব বুয়েট অ্যালামনাই (এবুয়েটা), ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশ (আইইবি), ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারস (বিআইপি), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলার) আয়োজনে গোলটেবিল আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, খুশি কবীর, মোবাশ্বের হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, খোন্দকার এম আনসার হোসেন প্রমুখ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।