কলকাতা জুড়েই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের গুণগান চলছে। আইএফএ শিল্ডে বাংলাদেশ ফেডারেশন কাপ বিজয়ীরা চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্য প্রদর্শন করছে। শনিবার যুব ভারতীয় সল্টলেক স্টেডিয়ামে কলকাতা মোহামেডানের বিপক্ষে ১১৮তম আইএফএ শিল্ডে ফাইনালে লড়বে। ম্যাচ জিতলে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম দল হিসেবে ট্রফি ঘরে নেওয়ার কৃতিত্ব পাবে। এর আগে ১৯৯৫ সালে ঢাকা মোহামেডান ফাইনাল খেললেও টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে যায়। শিরোপা কে জিতবে বলা মুশকিল। কিন্তু মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মতো ভারতের বিখ্যাত দুই দলকে হারানোর পর শেখ জামালের আত্দবিশ্বাস তুঙ্গে বলা যায়। তাছাড়া ফাইনাল ম্যাচটি হবে শেখ জামালের প্রতিশোধের। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচেই প্রথমে গোল করেও কলকাতা মোহামেডানের কাছে হেরে যায়। এ অবস্থায় মামুনুল বা সনি নর্দের জেদ থাকবে অন্য রকম। শিরোপা জিতলে বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে ধানমন্ডির দলটি। কিন্তু তার আগে কলকাতা জুড়ে প্রশংসায় ভাসছে শেখ জামাল। বিশেষ করে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে বিধ্বস্ত করার পর কলকাতা শহরে প্রধান আলোচনা ছিল মামুনুলদের ঘিরে।
ঢাকার মতো গ্যালারি শূন্য না থাকলেও ভারতের ফুটবলে আগের সেই উত্তেজনা নেই। সর্বত্র ক্রিকেট নিয়েই মাতোয়ারা থাকেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। কিন্তু আইএফএ শিল্ডে শেখ জামালের দাপট ফুটবলকে আবার আলোচনায় নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে ভারতখ্যাত ইস্টবেঙ্গলের এমনভাবে বিধ্বস্ত হওয়াটা কলকাতাবাসী মেনে নিতে পারছে না। মিডিয়া জুড়ে ইস্টবেঙ্গলের কোচ ও খেলোয়াড়দের সমালোচনা চলছে। অনেক মিডিয়াই উল্লেখ করেছে ইস্টবেঙ্গলের শোচনীয় হারে ভারতের ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। নিজেদের দলে সমালোচনা করলেও শেখ জামালের প্রশংসা করতে ভুলছে না তারা। কলকাতা থেকে প্রকাশিত শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিকে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের ফুটবল বলতে আমরা মোহামেডান-আবাহনী দুই দল ও মোনেম মুন্নাকে চিনতাম। কিন্তু শেখ জামাল বলে কোনো দল আছে তা জানা ছিল না। একেবারে অচেনা দল ইস্টবেঙ্গলকে একেবারে দাঁড়াতে দেবে না তা ভাবতেই পারেনি। ফুটবলে বাংলাদেশ যে উন্নতি করেছে তার প্রমাণ দিচ্ছে শেখ জামাল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।